ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রদলের কমিটির প্রতিবাদে বিক্ষোভ, হামলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে কয়েকজন নেতার বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে পদবঞ্চিত বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। শুক্রবার (৯ জুন) সকালে শহরের কান্দিপাড়ায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এর আগে পদবঞ্চিত ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা নতুন আহ্বায়ক কমিটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

শুক্রবার সকালে জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আবু শামীম মো. আরিফ (ভিপি শামীম) এবং পরবর্তীতে বিকেলে কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাউসার ও জেলা ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক শাহীনুর ইসলাম শাহীন ওরফে ইব্রাহিম হোসেন শাহীনের বাড়িতে এ হামলা ও ভাঙচুর করা হয়।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জেলা ছাত্রদলের ৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে শাহীনুর রহমানকে আহ্বায়ক ও সমীর চক্রবর্তীকে সদস্য সচিব করা হয়। পরবর্তীতে শুক্রবার সকালে শাহীন, সমীর, যুগ্ম আহ্বায়ক এলভীন লস্কর ও আব্দুল গাফফার রিমন জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক আবু শামীম মো. ভিপি শামিমের কান্দিপাড়ার বাসায় যান।

সেখানে সদ্য ঘোষিত কমিটির সদস্যদের শুভেচ্ছা দেওয়া হচ্ছে বলে খবর পায় ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। পরে জেলা ছাত্রদলের বিদায়ী কমিটির আহ্বায়ক ফুজায়েল চৌধুরী, সদস্য সচিব মহসিন মিয়া ও যুগ্ম আহ্বায়ক সাজিদুর রহমানের নেতৃত্বে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা কৃষক দলের আহ্বায়কের কান্দিপাড়ার বাড়িতে দা ও লাটিশোটা নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় আবু শামীমের বাড়ির পেছন দিয়ে সদ্য ঘোষিত কমিটির সদস্যরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ও যুবদলের নেতাকর্মীদের অনুরোধে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা সেখানে থেকে চলে যান।

এরপর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জেলা শহরের টিএ রোড ও পাওয়ার হাউস রোডে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। মিছিল শেষে আবার কান্দিপাড়ায় জেলা ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক শাহীনুর রহমান ও কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাউসারের বাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর চালায়।

এ বিষয়ে জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আবু শামীম মো. আরিফ সাংবাদিকদের বলেন, কান্দিপাড়ার দক্ষিণদিকের পুকুর পাড় থেকে একদল ছেলে এসে আমার বাড়ির প্রধান ফটকে হামলা চালায়। তারা ফটক ভাঙার চেষ্টা করেন। তারা কেন এমন করল বুঝতে পারছি না।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রদলের সদ্য সাবেক আহ্বায়ক ফুজায়েল চৌধুরী বলেন, যারা দীর্ঘদিন সরকার বিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন এবং হয়রানিমূলক মামলা আসামি তাদের বাদ দিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কবির আহমেদের অনুসারীদের দিয়ে কমিটি দেওয়া হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে। যে নিজের নাম একেক জায়গায় একেকভাবে ব্যবহার করেন। অথচ মাঠের কর্মীদের কোনো মূল্যায়ণ করা হয়নি। তাই পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে আন্দোলন শুরু করেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সোহরাব আল হোসাইন বলেন, কান্দিপাড়া বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলার বিষয়ে জানতে পেরেছি। এগুলো তাদের রাজনৈতিক অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এসব বিষয়ে তারা আমাদের সহযোগিতা চায়নি।

বাহাদুর আলম/এবিএস