এমপি কাজী কেরামত আলী

টিকা নেওয়ার দেড় মাস পর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী (৬৭), তার সহধর্মিণী রেবেকা সুলতানা সাজু (৬২) এবং মেয়ে কানিজ ফাতিমা চৈতী (৪০)। ৯ ফেব্রুয়ারি রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল টিকাদান কেন্দ্র থেকে এমপি ও তার মেয়ে এবং পরে তার স্ত্রী কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেন। 

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) এমপি কেরামত আলী, তার সহধর্মিণী (দ্বিতীয়বার করোনা আক্রান্ত হলেন) এবং মেয়ের করোনা পজিটিভ আসে। ওইদিনই এমপি ও তার সহধর্মিণী ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন এবং মেয়ে ২৭ মার্চ ভর্তি হন। বর্তমানে তারা ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এমপি কাজী কেরামত আলী এর সত্যতা নিশ্চিত করে ঢাকা পোস্টকে জানান, বর্তমানে তিনি, তার স্ত্রী ও মেয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালের দুটি কক্ষে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। সপরিবারে করোনাভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য তিনি রাজবাড়ীসহ দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

এমপির বিশেষ সহকারী মো. এনায়েতুল হাসনাইন রওশন ঢাকা পোস্টকে বলেন, মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এমপি কাজী কেরামত আলী গত ১০ মার্চ থেকে রাজবাড়ীতে অবস্থান করছিলেন। এ সময় তিনি তার নির্বাচনি এলাকায় (রাজবাড়ী সদর ও গোয়ালন্দ উপজেলায়) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দলীয়, সরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমসহ বেসরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকেছেন।

গত ২৪ মার্চ তার জ্বরসহ ঠান্ডা ও কাশির উপসর্গ দেখা যায়। এ অবস্থায় এমপি তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ওইদিন বিকেলে রাজবাড়ী থেকে ঢাকায় যান। চিকিৎসকের পরামর্শে রাতে স্কয়ার হাসপাতালে তিনজনই করোনার নমুনা পরীক্ষা করেন। পরদিন ২৫ মার্চ সকালে রিপোর্টে তাদের করোনা পজিটিভ আসে। ওইদিন এমপি ও তার সহধর্মিণী এবং ২৭ মার্চ মেয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন।

দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হলে ২০২০ সালের ১৪ এপ্রিল এমপি কাজী কেরামত আলীর সহধর্মিণী রেবেকা সুলতানা সাজু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। ওই সময় তাকে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাসপাতালে স্ত্রীর পাশে থেকে সেবা করেন। সে সময় এমপি ও তার মেয়ের করোনা নেগেটিভ আসে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল টিকাদান কেন্দ্র থেকে এমপি ও তার মেয়ে করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেন। পরে তার স্ত্রী কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেন বলে জানা গেছে।

মীর সামসুজ্জামান/এসপি/এমএমজে