সংসদ সদস্য উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী

হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে রোববার (২৮ মার্চ) ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চালানো তাণ্ডবের দায় সংগঠনটির নেতাকর্মীদেরই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

সোমবার (২৯ মার্চ) দুপুর ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোকতাদির চৌধুরী বলেন, হরতালের দিন যা কিছু ঘটে, তার দায়-দায়িত্ব হরতাল আহ্বানকারীদের নিতে হয়। সেই কারণে গতকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে যা ঘটেছে, সেটার দায় হরতাল আহ্বানকারী হেফাজতে ইসলামের স্থানীয় নেতাদের নিতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে কারও প্রতি আমার কোনো আক্রোশ নেই।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিন আমার রাজনৈতিক কর্মীরা পরিশ্রান্ত ছিলেন। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীও পরিশ্রান্ত ছিলেন বলে আমরা ধরে নেব। তারা অনেক পরিশ্রম করেছেন, সেটা আমরা অস্বীকার করব না। কিন্তু তারপরও তাদের কাছে খবর থাকা বা প্রস্তুতি থাকা উচিত ছিল; যদি কোনো অন্তর্ঘাতমূলক কাজ হয়, তার মোকাবিলা করা।

মোকতাদির চৌধুরী বলেন, তাদের কি প্রস্তুতি ছিল আমি জানি না। কিন্তু আমরা সবাই অবাক বিস্ময়ে দেখলাম, বিকেল ৩টার পর থেকে শহরে তাণ্ডব চলেছে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের দ্বারা। রেলওয়ে স্টেশনে যারা ভাঙচুর করেছেন, তাদের কেউ না কেউ উসকে দিয়ে পাঠিয়েছেন। যে যদি তুমি করতে পার তাহলে ইসলাম ধর্ম কায়েম হবে। ওই লোকটিকে আমরা চিহ্নিত করতে চাই।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব পালনের সভায় আমি প্রস্তাব দিয়েছিলাম যে; মৌলভী সাহেবদের সঙ্গে একটু কথা বলা দরকার। তারা কীভাবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করবেন, সে সম্পর্কে আমাদের কোনো পরামর্শ বা তাদের কোনো পরামর্শ থাকলে শোনা দরকার। কারণ আমি জানি তারা এ ধরনের কাজে (তাণ্ডব) অভ্যস্ত। তারা কোনো আইনশৃঙ্খলার ধার ধারেনা।

তিনি বলেন, যেখানে যেখানে হামলা হয়েছিল- কোথাও প্রশাসনের লোকজন যায়নি। আজকে ডিআইজি এসে হয়তো দু-এক জায়গায় গেছেন। প্রশাসন নিষ্ক্রিয় ছিল। আমরা এটার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাই।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, সহসভাপতি তাজ মো. ইয়াছিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মণ্টু ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম ভূঁইয়া প্রমুখ।

আজিজুল সঞ্চয়/এমএসআর