বগুড়ায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১১ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুর পৌনে ১টার দিকে বগুড়া শহরের ইয়াকুবিয়ার মোড়ে ও পরে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বন্ধ হয়ে যায় সব ধরনের যানবাহন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি বাস্তবায়নে বগুড়ায় পদযাত্রার আয়োজন করে বিএনপি। এ লক্ষ্যে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা সকাল ১০টা থেকে বনানী টু মাটিডালী বিমান মোড় পর্যন্ত পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করতে যান। দুপুরে শহরের নবাববাড়ি সড়কে বিএনপির কার্যালয় থেকে দলের নেতাকর্মীরা বেরিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এনিয়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের থেমে থেমে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এর আগে বগুড়ার বনানী থেকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনার নেতৃত্বে পদযাত্রা শহরের দিকে আসে। দুপুরে পদযাত্রাটি শহরের ইয়াকুবিয়ার মোড়ে পৌঁছালে নেতাকর্মীরা সাত মাথার দিকে যেতে চান। এতে পুলিশ বাধা দেয়। ফলে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল এবং হাতে থাকা লাঠি নিক্ষেপ করলে পুলিশের পরিদর্শক তারিকুল ইসলামসহ ১১ জন আহত হন। এ সময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।

বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার বলেন, বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি পণ্ড করতে আওয়ামী লীগ শহরে শান্তি সমাবেশের নামে পাল্টা কর্মসূচি দেয়। আওয়ামী লীগের ইন্ধনে বিনা উসকানিতে পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমারা সংবাদ সম্মেলন ডেকেছি। সেখানে বিস্তারিত জানানো হবে।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছে। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ জানমাল রক্ষায় টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে।

তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা পরিকল্পিতভাবে পুলিশের ওপরে হামলা চালিয়েছে। এতে পুলিশের ১১ সদস্য আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাুলে ভর্তি করা হয়। এছাড়া বিএনপির নেতাকর্মীরা একটি স্কুলবাসসহ কয়েকটি বাসে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে। এসব ঘটনায় মামলা হবে। 

শাহিনুল আশিক/আরএআর