টাঙ্গাইলের সখীপুরে একস‌ঙ্গে এসএস‌সি পরীক্ষা দেওয়া তিন‌ বোন ভালো ফলাফলে উত্তীর্ণ হয়েছে। শুক্রবার (২৮ জুলাই) সারা‌দে‌শে এক‌যো‌গে এসএস‌সি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকা‌শিত হয়। 

পরীক্ষায় তিন‌ বোন সখীপুর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শফিকুল ইসলামের বড় মে‌য়ে সুমাইয়া ইসলাম, মেঝো মে‌য়ে সাদিয়া ইসলাম ও ছোট মে‌য়ে রাদিয়া ইসলাম উত্তীর্ণ হ‌য়েছে। 

এর আগে উপ‌জেলার সখীপুর পিএম পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী তিন‌ বোন এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ক‌রে। তিন‌ বো‌নের এক‌ত্রে পরীক্ষা দেওয়ার ঘটনা‌টি সে সময় সবার নজর কে‌ড়ে‌ছিল। 

তাদের নিয়ে গত ৩০ এপ্রিল ‘একস‌ঙ্গে এসএসসি পরীক্ষা দি‌চ্ছে ৩‌ বোন’ শি‌রোনা‌মে জন‌প্রিয় নিউজ‌ পোর্টাল ঢাকা‌ পোস্টে সংবাদ  প্রকা‌শিত হয়। 

এসএস‌সির ফলাফলে দেখা যায়, বড় বোন সুমাইয়া ইসলাম জিপিএ- ৪.৪, মে‌জো বোন সা‌দিয়া ইসলাম ৪.৬ ও ছোট বোন রা‌দিয়া ইসলাম ৪.২ পে‌য়ে উত্তীর্ণ হ‌য়ে‌ছে। 

তিন‌বোন উপজেলার সখীপুর পিএম পাইলট মডেল সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়ে‌ছিল। 

তাদের বাবা শফিকুল ইসলাম বলেন, আমার তিন মে‌য়ে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ক‌রে ভালো ফলাফল ক‌রে উত্তীর্ণ হ‌য়েছে।  তাদের এই ফলাফলে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।  সবার কাছে তা‌দের জন‌্য দোয়া চাই। তারা যেন তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে। 

সখীপুর পিএম পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাইয়ুম হোসাইন বলেন, ওই তিন বোন একস‌ঙ্গে পরীক্ষা দি‌য়ে সবাই উত্তীর্ণ হ‌য়ে‌ছে। এতে আমরাও খু‌শি। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শফিকুল ইসলাম ১৯৮৯ সালে জীবিকার তাগিদে সৌদি আরব যান। ২০০০ সালে দেশে এসে বিয়ে করেন। এরপর ২০০৩ সালে স্ত্রী রেখা আক্তারকে সৌদি আরবে নিয়ে যান। সেখানকার একটি হাসপাতালে ২০০৫ সালের জুলাই মাসে বড় মেয়ে সুমাইয়ার জন্ম হয়। এর ১৪ মাস পর ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে মেজো মেয়ে সাদিয়ার এবং ২০০৭ সালের শেষের দিকে ছোট মেয়ে রাদিয়ার জন্ম হয়। ২০১১ সালে তিন মেয়েসহ স্ত্রীকে দেশে রেখে যান শফিকুল। বয়সের পার্থক্য থাকলেও ওই বছর তিন মেয়েকে সখীপুরের একটি কিন্ডারগার্টেনে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি করা হয়। তখন থেকেই তারা একই ক্লাসে পড়ে। 

অভিজিৎ ঘোষ/আরএআর