খোলা আকাশের নিচে সন্তান নিয়ে বসে আছেন রহিমা
নোয়াখালীর শহর মাইজদীতে পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাইয়ের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী দিয়ে বোনের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নোয়াখালী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের উত্তর ফকিরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত আবু নাইম বাপ্পি (৩৫) নোয়াখালী পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের উত্তর ফকিরপুর গ্রামের মৃত আবদুল হাইয়ের ছেলে। ভুক্তভোগী রহিমা আক্তার (৪৫) অভিযুক্ত আবু নাইম বাপ্পির পঞ্চম বোন।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বোন রহিমা আক্তারের ভাই আবু নাইম বাপ্পির সঙ্গে মামলা চলমান রয়েছে। আদালতের আদেশ তোয়াক্কা না করে বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সন্ত্রাসী নিয়ে বোনের বাড়িতে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট চালান বাপ্পি। এসময় বাপ্পি তার বড় ভাই আব্দুর রহমান, ভাগনি আনিশা ও মাইশা আক্তারকেও আঘাত করেন। একপর্যায়ে হ্যামার দিয়ে বোনের ভবনের ছাদ ভেঙে দেন। বোন রহিমা আক্তার ৯৯৯ এ কল করে পুলিশকে জানালে পুলিশ আসার খবরে বাপ্পি ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা বড় ভাই আব্দুর রহমানকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করায়।
ভুক্তভোগী রহিমা আক্তারের একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে মাইশা আক্তার ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাপ্পি মামা সন্ত্রাসী নিয়ে এসে আমাদের উচ্ছেদ করার জন্য হামলা চালায়। তিনি আমার মা রহিমা আক্তার, আমার চাচা আব্দুর রহমান ও আমাদের দুইবোনকে মারধর করেছে। আমরা খোলা আকাশের নিচে বসে আছি।
বিজ্ঞাপন
ভুক্তভোগী রহিমা আক্তার ঢাকা পোস্টকে বলেন, উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে আমার ভাই বাপ্পি আমাদের হত্যা করার জন্য ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে আমাদের ঘরে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট করে। সে আমার মোবাইল ফোন ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল কেড়ে নিয়ে যায়। আমি পুলিশকে খবর দিলে সে আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। আমার ২ মেয়ে নিয়ে আমি ভাঙা ঘরে খোলা আকাশের নিচে বসে আছি। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটা ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছি।
রহিমা আক্তারের বড় বোন মাজেদা আক্তার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা ৭ বোন দুই ভাই। ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে আমাদের ছোট ভাই বাপ্পি এই পৈতৃক বাড়ি দখল করার উদ্দ্যেশ্যে এই হামলা চালিয়েছে। আমার বড় ভাই আব্দুর রহমানকে হামলা করেছে। বর্তমানে সে সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে। আমি এমন বর্বরতার বিচার চাই।
অভিযোগের বিষয়ে আবু নাইম বাপ্পির মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তার কোনো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সুধারাম মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। ভুক্তভোগী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। আমরা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
হাসিব আল আমিন/আরকে