কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের প্রায় ১৬ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার প্রতিবাদে বিএনপির নেতাকর্মীরা উপজেলার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে সমাবেশের আয়োজন করে। তারা  বিকেল ৩টা থেকে মহিলা ডিগ্রি কলেজ কদমতলা মোড়, কাচারি মাঠ, ফুলবাড়ী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ও ব্র্যাক মোড়ে সমাবেত হতে থাকলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী পোদ্দার রতন সেখানে গিয়ে তাদেরকে শান্তিপূণভাবে কর্মসূচি পালন করার আহ্বান জানান। 

পরে উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়ন বিএনপির সমর্থকদের কয়েকটি অটোরিকশা উপজেলা শহরে প্রবেশ করে স্লোগান দেওয়ায় উপজেলা ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে সমাবেশস্থল থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে সদরের তিনকোনা মোড়ে প্রবেশ করলে ছাত্রলীগের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। 

এতে উপজেলা ছাত্রলীগর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজল পোদ্দার, লোকমান হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক তাহাদ হাসান তুষার ও বায়জিদ বোস্তামী বাঁধনসহ প্রায় ৮/১০ জন এবং বিএনপির উপজেলা সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন সরকার, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রেজাউল ইসলাম রেজা, যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ রানা, তোতা মিয়া, বিএনপির রেজাউল ইসলাম, আয়নাল, আলামিন, শফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন আহত হন। পরে পুলিশ এসে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বিএনপির নেতাকর্মীরা একটি মিছিল নিয়ে উপজেলার মহিলা কলেজ সংলগ্ন কদমতলা মোড়ে গিয়ে সমাবেশ করেন। 

এ সময় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান মুকুল জানান, আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমাদের প্রায় ১০/১২ জনের মতো নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ ঘটনার বিচার দাবি করেন তিনি।

এদিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তিনকোনা মোড়ে সমাবেত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী পোদ্দার রতন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌকির হাসান তমাল বক্তব্য দেন। 

এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী পোদ্দার রতন বলেন, ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আমি নিজেই পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করি। তারপরও বিএনপির লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। উপজেলা আওয়ামী লীগ শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বদা প্রস্তুত আছে।

ফুলবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) নাজমুস সাকিব সজীব জানান, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। কেউ শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট করার চেষ্টা করলে তা দমন করা হবে।

জুয়েল রানা/আরএআর