ফরিদপুরের আকাশ সকাল থেকেই ছিল মেঘলা। বেলা বাড়ার সঙ্গে দফায় দফায় নামে বৃষ্টি। দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। এই বৃষ্টি ও মেঘলা আকাশের বিরূপ আবহাওয়া উপেক্ষা করেই চলছে ফরিদপুরের রোডমার্চ। বেলা ১১টার দিকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মোড়ে সমাবেশের পর বসন্তপুর হয়ে দুপুর ২টার দিকে ফরিদপুরে আসে পথ যাত্রাটি।

অতিথিদের উপস্থিত হওয়ার আগে থেকেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে ফরিদপুরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে সমবেত হতে থাকে নেতাকর্মীরা।

রোডমার্চে অন্তত ১১০টি খোলা পিকাপ, ৯০টি মাইক্রোবাস ও দুই শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে বিএনপির কর্মীরা রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে আসেন। পরে সেখানে বিরূপ আবহাওয়ার মধ্যেই পথসভা চলে। পরে রোডমার্চটি শরীয়তপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবে। রোডমার্চে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার একটি পিকআপে সাউন্ড সিস্টেমে করে বিএনপির দলীয় বিভিন্ন গায়কের উদ্দীপনামূলক গান বাজানো হয়। পাশাপাশি একটি তাঁবু ঘেরা পিকআপে বিভিন্ন শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন।

রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ের মঞ্চে বিশেষ উদ্দীপনা জোগায় বাংলা চলচিত্রের খল অভিনেতা শিবা শানুর স্লোগান। বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মুক্তির দাবি জানিয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তিনি ‘মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই,খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদাহ এলাকা থেকে সমাবেশে এসেছেন বিএনপি কর্মী তাজেল মুন্সী (৫৬)। তিনি বলেন, নেতারা বিভিন্ন সময়ে আমাদের নিয়ে সমাবেশ করে একটাই দাবির কথা বলেছেন। এই সরকারের পদত্যাগ। আমরাও এই দাবিতে রোডমার্চে অংশ নিয়েছি।

মধুখালি উপজেলা থেকে আসা বিএনপি কর্মী শাহজালাল মৃধা (৪৯) বলেন, সকালে আকাশ দেখে বৃষ্টি আসবে এটা মনে হয়নি। কিন্তু গোয়ালন্দ থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বাধ্য হয়েই বৃষ্টিতে ভিজে এসেছি। বৃষ্টির কারণে তো আর মিটিং থেকে চলে যেতে পারি না। 

রোডমার্চটি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শরীয়তপুরে পৌঁছাবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ ও প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান।

জহির/এএএ