ম্যাজিস্ট্রেট ও ডিবি পরিচয়ে চাঁদা দাবি, গ্রেফতার ৩
গ্রেফতার ৩ যুবক
গাজীপুরে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সিটি কর্পোরেশনের এক কাউন্সিলর এবং একটি হাসপাতালের মালিকের কাছে মোবাইল ফোনে চাঁদা দাবির অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বৃহস্পতিবার ভোরে গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানার দিঘীরচালা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান জানান, গত ৬ এপ্রিল গাজীপুর সিটির ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো.সোয়েব আল আসাদ (মনির) এবং কালিয়াকৈর থানার সফিপুর বাজারের খাজা বদরুদ্দোজা মর্ডান হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মো. বখতিয়ারের কাছে ফোন করে চাঁদা চায়।এ সময় তারা নিজেদেরকে গাজীপুর জেলা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এবং ডিবি পুলিশের এসআই পরিচয় দেয়।
পরবর্তীতে কাউন্সিলর ও হাসপাতালের মালিক গাজীপুরের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের মোবাইলে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান। এ ঘটনায় কাউন্সিলর মো. সোয়েব আল আসাদ বাসন থানায় এবং ডা. মো. বখতিয়ার কালিয়াকৈর থানায় পৃথক মামলা দায়ের করেন।
বিজ্ঞাপন
পিবিআই মামলাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে। পরে পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক মো. হাফিজুর রহমান ও এসএম শাকিল হাসানের নেতৃত্বে একটি টিম তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোরে নগরীর বাসন থানার দীঘিরচালা এলাকায় অভিযান চালান। ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত মো. সজীব হাসান শিপন (২২) কে গ্রেফতার করেন। সে ওই এলাকার জসিমের বাড়িতে ভাড়া থাকতো। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক একই এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো.শফিকুল ইসলাম (২৭), শাখাওয়াত উকিলের বাড়ির ভাড়াটিয়া মো.মোস্তফার ছেলে মো. হৃদয় (২১) কে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মো. সজীব হাসান শিপনের কাছ থেকে ম্যাজিস্ট্রেটের ও ডিবি পুলিশের পরিচয়ে কথা বলার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার তাদের গাজীপুর আদালতে পাঠানো হলে সেখানে তারা ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানান পিবিআই কর্মকর্তা।
শিহাব খান/ এমআইএইচ