বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বিএনপির নিরাপত্তা বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি (জয়পুরহাট-২)।

তিনি বলেন, দেশে আন্তর্জাতিকভাবে ষড়যন্ত্র চলছে। আপনারা খেয়াল করে দেখবেন একজন নতুন নেতা বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছেন সাদা চামড়ার। তিনি দেশে জন্ম নেয় নাই। এ দেশে চাকরি করতে এসেছেন। চাকরি করতে এসে হাস বাবু এখন বিএনপির নিরাপত্তা বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন।

শনিবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কালাই-ক্ষেতলাল-আক্কেলপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত নাগরিক সভায় হুইপ স্বপন এসব মন্তব্য করেন।


হুইপ স্বপন বলেন, তিনি (পিটার হাস) ছুটোছুটি করছেন। আমরা কি বুঝি না, পেছনে আপনাদের ষড়যন্ত্র কি? আপনারা ফিলিস্তিনের মুসলমানদের উৎখাত করেছেন। আপনারা জেরুজালেমের পবিত্র মাটি থেকে, গাঁজার পবিত্র মাটি থেকে, পশ্চিম তীরের পবিত্র মাটি থেকে ফিলিস্তিনিদের উৎখাত করেছেন। আমরা জানি না? বাংলাদেশের মুসলমানরা জানে না? ওহ আমরা গরিব ছিলাম, তখন আমাদের লোক দেখানো দয়া করেছেন। এখন আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ধনী হচ্ছি, আমাদের পছন্দ হয় না। আমাদেরকে আবার আপনারা ফিলিস্তিন বানাতে চান। এজন্য দৌড়ঝাঁপ করছেন।

বিএনপিকে নাসারা অ্যাখায়িত করে তিনি আরও বলেন, ইহুদির দোসর নাসারা। নারাসা ‘ন’ দিয়েও হয় ‘এন’ দিয়েও হয়।  বি’তে বাংলাদেশ আর পি’তে পার্টি। এখন এই নাসারা পার্টি তেল মর্দনকারি হয়েছে। মুসলমানদের বিপক্ষে অবস্থান করে তারা ইহুদিদের দোসর ওই আমেরিকার চামচা হয়েছে। ২৮ অক্টোবর মনে হয়েছিল ওরে বাপ কি হবে, কি হবে! আপনারা ২৮ তারিখে এমন কিছু করলেন ২৯ তারিখে নাসারা পার্টির নিরাপত্তা বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচন কমিশনে গিয়ে বললেন কি, নিঃশর্ত আলোচনা চাই। এতোদিন কি বলছেন, আলোচনা হতে হবে শেখ হাসিনার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে। কয়েকদিন পর লেজ ঘুটায়ে বলবে আমরা শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন করবো এবং শেখ হাসিনার নের্তৃত্বেই সরকার থাকবে। নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন হবে। সরকার নির্বাচনে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। একটি অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এই আসনে বিজয় অর্জন করবো।

এ সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য আব্দুল মজিদ মোল্লা। এতে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আ.লীগের সভাপতি আরিফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জয়পুরহাট পৌরসভার মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান, ক্ষেতলাল উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও আলমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুজ্জামান তালুকদার প্রমুখ। এই সভায় জয়পুরহাট-২ (কালাই-ক্ষেতলাল-আক্কেলপুর) আসনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেন।

নাগরিক সভায় একনেকে ৪৯৯ দশমিক ৯০ কোটি টাকার জয়পুরহাট জেলা গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন ও এ জেলায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করায় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে কালাই-ক্ষেতলাল-আক্কেলপুর এই তিন উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের ৬৩টি গ্রামীণ সড়কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও টিআর কাবিখা খাত থেকে ৪২৫টি গ্রামীণ গলিতে ইট বিছানো কাজের উদ্বোধন করেন হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।

চম্পক কুমার/এমএএস