সর্দারনীর বিরুদ্ধে রাস্তায় নামলেন নিষিদ্ধপল্লির কর্মীরা
সর্দারনীর বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন যৌনকর্মীরা
জয়নারী কল্যাণ সংঘ নামের একটি সমিতির মাধ্যমে ফরিদপুর শহরের রথখোলা যৌনপল্লির কয়েকশ যৌনকর্মীর উপার্জিত লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন সর্দারনী আলেয়া বেগম। এমন অভিযোগ তুলে তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন যৌনকর্মীরা।
সোমবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সামনে মুজিব সড়কে এ মানববন্ধন করা হয়। এতে যৌনকর্মী ছাড়াও হাজী শরীয়তুল্লাহ বাজারের ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী অংশ নেন।
বিজ্ঞাপন
মানববন্ধনে যৌনকর্মীরা বলেন, জয়নারী কল্যাণ সংঘের নেত্রী আলেয়া বেগম যৌনকর্মীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করেন। চাঁদা না দিলে নিজস্ব বাহিনী দিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন। বাইরে থেকে অপ্রাপ্তবয়স্কদের এনে দেহ ব্যবসা করান। তিনি মানবপাচারে জড়িত।
বাজার ব্যবসায়ীদের নেতা ইলিয়াস শেখ বলেন, আলেয়া বেগম তৃতীয় লিঙ্গের নারীদের দিয়ে দেহ ব্যবসা করান। অথচ এটি তৃতীয় লিঙ্গের পল্লি না। তারা খদ্দের ধরতে বাজারের প্রবেশপথে দাঁড়িয়ে থাকেন। ব্যবসায়ী এবং স্থানীয়রা ছেলেমেয়েদের নিয়ে এলাকায় বসবাস করতে পারি না।
বিজ্ঞাপন
যৌনকর্মীদের দাবি, বিপদে-আপদে সহায়তা পাওয়ার আশায় ১৬ বছর আগে থেকে আমরা ১০ টাকা করে আলেয়া বেগমের সমিতিতে জমা রাখছি। কিন্তু আমাদের কোনো বিপদে সমিতি থেকে সাহায্য করা হয়নি। আমরা এসব টাকা ফেরত চাই।
তারা আরও বলেন, আলেয়া বেগমের অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বললে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়া ছাড়াও সন্ত্রাসী দিয়ে নির্যাতন ও নানাভাবে হয়রানি করা হয়।
মানববন্ধন শেষে ফরিদপুরের পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দেন যৌনকর্মী। একই সঙ্গে তারা আলেয়া বেগমের বিচার দাবি করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আলেয়া বেগম বলেন, পাঁচ বছর বন্ধ থাকার পর আমরা আবার সংগঠনের কার্যক্রম চালু করেছি। সমিতিতে যৌনকর্মীদের কোনো টাকা জমা নেই। মহিলা অধিদফতর দিয়ে সংগঠনের অডিট হয়। রিজিয়া ও ববি নামের দুই বোন তাদের পারিবারিক বিরোধের কারণে সংগঠনের নামে এসব মিথ্যা কথা ছড়াচ্ছেন।
তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ দিয়ে দেহ ব্যবসা করানোর বিষয়ে তিনি বলেন, রিজিয়ার ছেলে গোপাল ওরফে নিশির বাড়িতে তৃতীয় লিঙ্গের কয়েকজন থাকেন। তারা কাউকে বিরক্ত করেন না। অন্যান্য অভিযোগ সঠিক নয়।
বি কে সিকদার সজল/এএম