১৪ এপ্রিল থেকে সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করায় পাটুরিয়ায় ছোট গাড়ির চাপ বাড়ছে

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে সারাদেশে লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এ ঘোষণায় রাজধানীসহ আশপাশের মানুষ শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন। এতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে সাধারণ যাত্রী ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির চাপ বাড়ছে।

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২১ জেলার মানুষ ও যানবাহনের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হলো পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথ। স্বাভাবিক সময়ে এ নৌপথ দিয়ে গড়ে ৫ থেকে ৭ হাজার যানবাহন ও হাজার যাত্রী পারাপার হয়ে থাকে।

রোববার (১২ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির দীর্ঘ সারি। ৩০ মিনিটের নৌপথ পারাপারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। পরিবহন বাস চলাচল বন্ধ থাকায় সাধারণ যাত্রীরা ভাড়ার মোটরসাইকেল, পিকআপ ভ্যান, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসে করে পাটুরিয়া ঘাটে আসছেন। প্রচণ্ড রোদ আর তাপদাহে অনেকেই হাঁপিয়ে ওঠেছেন।

কুষ্টিয়াগামী সুমন হোসেন বলেন, এক দিন পর কঠোর লকডাউন শুরু হবে। তাই পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি। দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে একটি প্রাইভেটকার ভাড়া করেছি। যে হারে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে তাতে ঢাকায় থাকা নিরাপদ নয়।

হামীম নামে এক প্রাইভেটকার চালক বলেন, মালিকের পরিবারের সদস্যদের বরগুনায় দিতে যাচ্ছি। ভেবেছিলাম পরিবহন বন্ধ থাকায় ঘাট পারাপারে তেমন সময় লাগবে না। বেলা সাড়ে ১১টায় ঘাটে এসে দেখি ছোট গাড়ির দীর্ঘ সারি। দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর ফেরিতে উঠার সিরিয়াল পেয়েছি।

ট্রাকচালক আবুল মিয়া বলেন, সড়কে বাস চলাচল বন্ধ, তবু আমগো ভোগান্তি কমছে না। ঘাট এলাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। আজকে নৌপথ পার হতে পারব কি না বলতে পারছি না।

বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের বাণিজ্য শাখার ডিজিএম মো. জিল্লুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকাল থেকেই ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে। ঘাট পার হতে আসা ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি ও আটকে থাকা সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার করতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ১৭টি ফেরির মধ্যে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। শাহ জালাল নামে বড় ফেরিটি বিকল হয়ে মেরামতে আছে। সবশেষ পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ছোট গাড়ি ও ট্রাক মিলে পাঁচ শতাধিক যানবাহন নৌপথ পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।

সোহেল হোসেন/এসপি