বিএনপি নেতা বাবুল হত্যার বিচার খুলনার মাটিতেই হবে
নজরুল ইসলাম মঞ্জু
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, বিএনপি নেতা বাবুল কাজি হত্যার বিচার খুলনার মাটিতেই হবে। যারাই এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত তাদের আইনের মুখোমুখি হতে হবে।
সোমবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে বিএনপি নেতা বাবুল কাজির মরদেহ সামনে রেখে হত্যার বিচার দাবি করলে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
বিজ্ঞাপন
২৯ মার্চ কর্মসূচির আগে হামলায় মারাত্মক আহত বিএনপি নেতা বাবুল কাজি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার (১১ এপ্রিল) রাতে মৃত্যুবরণ করেন।
নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, অস্ত্রের মুখে কেউ চিরদিন ক্ষমতায় থাকতে পারেনি, শেখ হাসিনাও পারবেন না। ভিডিও ফুটেজ দেখলেই খুনিদের খুঁজে বের করা সম্ভব। কারা নির্দেশ দিয়েছেন; কারা তাকে রক্তাক্ত করেছেন, কারা তাকে হত্যা করেছেন; সবই জানা আছে।
বিজ্ঞাপন
মঞ্জু আরও বলেন, আদালতে মামলা করব; বিচারের দাবিতে। জানি না এ সরকারের আমলে বিচার পাব কিনা! তবে বাবুল কাজি হত্যার বিচার হবেই খুলনার মাটিতে। সভা-সমাবেশ করা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু খুলনার পুলিশ প্রশাসন ২৯ মার্চের কর্মসূচিতে বাধা দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি। অতিউৎসাহী কিছু পুলিশ সদস্য বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ২০ জন নেতাকর্মীকে রক্তাক্ত করেছেন। বাবুলের মৃত্যুর শোককে শক্তিতে পরিণত করে আন্দোলন জোরদার করতে হবে।
দুপুর ১২টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে বাবুল কাজির মরদেহ এলে হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। বাবুল কাজির মরদেহে দলীয় পতাকা ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান নেতাকর্মীরা।
এ সময় সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি ও অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম।
পরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বাবুল কাজির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। দলীয় নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে জানাজা শেষে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তার বাসভবনে। বাদ জোহর দক্ষিণ মোল্লাপাড়া জামে মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা শেষে বাবুল কাজিকে দাফন করা হয়।
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, দেশের বিভিন্ন স্থানে ১৭ জন মানুষ নিহতের প্রতিবাদে কর্মসূচি দেয় বিএনপি। খুলনায় কর্মসূচি পালনকালে ২৯ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের হামলায় ২০ জন আহত হন। মারাত্মক আহত হন ৩১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোহাম্মাদ বাবুল কাজি। রোববার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মোহাম্মদ মিলন/এএম