রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দে মোসলেমা বেগম আইরিন (২২) নামে এক গৃহবধূকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই গৃহবধূর শয়নকক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে তার স্বামী জীবন মিয়া (২৫)। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ওই গৃহবধূর শাশুড়ি নূরজাহান বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।
 
সোমবার (১২ এপ্রিল) ভোরে পায়রাবন্দ ইউনিয়নের ইসলামপুর ভাঙ্গারপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দুপুরে মোসলেমার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। 

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, মোসলেমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তার মরদেহ ফেলে রেখে পালিয়েছেন স্বামী জীবন। 

স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকালে গৃহবধূ মোসলেমা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে। পরে লোকজন খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে বিছানায় মোসলেমার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। ওই সময়ে ঘরের তীরের সঙ্গে ওড়না ঝুলানো ছিল।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পায়রাবন্দ ইউনিয়নের ইসলামপুর ভাঙ্গারপাড়ের আব্দুর রউফের ছেলে জীবন মিয়ার সঙ্গে দিনাজপুরের ফুলবাড়ি উপজেলার বুঝরুক সমশেরনগর গ্রামের আহাদ আলীর মেয়ে মোসলেমা বেগম আইরিনের কয়েক বছর আগে বিয়ে হয়। জীবন মিয়া পেশায় রাজমিস্ত্রি। তিনি নিয়মিত জুয়া খেলে টাকা নষ্ট করতেন। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হতো। ঘটনার আগের রাতেও তাদের দুইজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। সোমবার সকালে মোসলেমার আত্মহত্যার খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। পরে দুপুরে পুলিশের উপস্থিতিতে শয়নকক্ষ থেকে মোসলেমার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় মোসলেমার বড় ভাই মুঞ্জুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় হত্যা মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকে মোসলেমার স্বামী জীবন মিয়া লাপাত্তা রয়েছে।

এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল ওয়াহাব জানান, ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। ঘটনার পর জীবন পলাতক থাকায় তার মা নূরজাহান বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরএআর