কাদের মির্জার ছেলে তাশিক মির্জা

আবারও নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াসহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ফেসবুক হ্যাক করে ধর্মীয় উসকানিমূলক পোস্ট দেওয়ায় তার অনুসারী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটির অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কাদের মির্জার ছেলে তাশিক মির্জাসহ উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। 

আহতরা হলেন মেয়র কাদের মির্জার ছেলে তাশিক মির্জা, কাদের মির্জার ভাগনে মিরাজ, ছাত্রলীগ নেতা বোরহান উদ্দিন, ফয়সাল আহমেদ জিসান, হিমেল, সানি, জয়, ইমন, আওয়ামী লীগের আরমান চৌধুরীসহ অন্তত ১০ জন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে আরমান গুরুতর আহত।

বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ থানার সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেয়র কাদের মির্জার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ধর্মীয় উসকানিমূলক পোস্ট দেওয়া হয়। এটিকে কেন্দ্র করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেলের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা থানার সামনে জড়ো হন। অন্যদিকে কাদের মির্জার ছেলে তাশিক মির্জা জিরো পয়েন্ট হয়ে থানার সামনে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হন।

এ বিষয়ে তাশিক মির্জা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার বাবার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ধর্মীয় উসকানিমূলক পোস্ট দেওয়া হয়। এতে আওয়ামী লীগের উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। বিষয়টি নিয়ে আমি রুমেল চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলতে গেলে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন তার সমর্থকরা।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেল ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা উপজেলা থেকে বের হয়ে থানার সামনে অবস্থান নিলে তাশিক মির্জা অস্ত্রসহ আমাদের ওপর হামলা চালান। এতে আমাদের সাতজন নেতাকর্মী আহত হন।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ দুই পক্ষকে নিবৃত্ত করেছে। ব্যর্থ হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা যায়নি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হাসিব আল আমিন/এএম