শফিকুল ইসলাম শফিক

একজন স্বপ্নবাজ যুবক শফিকুল ইসলাম শফিক (৩০)। তিনি কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী পৌরসভার মালভাঙ্গা গ্রামের আবু তালেব মিয়া ও রহিমা বেগম দম্পতির ছেলে। মা-বাবা, ছোট ভাই, স্ত্রী ও ৩ বছরের মেয়েকে নিয়েই সুখের সংসার তার। সংসারের একমাত্র ভরসাই ছিলেন শফিকুল।

অথচ সেই পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম যুবক শফিকুলের জীবনপ্রদীপ নিভে যেতে বসেছে আজ। তার পরিবার জানায়, পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি শফিকুল। তার সামান্য আয়ে বেশ হাসি-খুশিতেই চলত তাদের সংসার।

কিন্তু সে সুখ বেশি দিন টেকেনি তার ভাগ্যে। দিনে দিনে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। কোনো কাজ করতেও পারেন না। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে ডান কিডনিতে জটিলতা ধরা পড়ে তার।

ফলে বন্ধ হয়ে যায় রোজগারের পথ। ধোঁয়াশায় মিশে যেতে থাকে সংসারের সব সুখ। পরে কিডনি অপারেশন করা হয় তার। কিন্তু তাতেও কোনো ফল হয়নি। কিছুদিন পর আবারও সমস্যায় ভুগতে থাকেন শফিকুল। এভাবে বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করতে গিয়ে এখন সহায় সম্বলহীন হয়ে পথে বসতে চলেছে তার পরিবার।

এদিকে আবারও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে তার ডান কিডনি ৯৬ ভাগ ড্যামেজ হয়েছে বলে জানান রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ইউরোলোজি বিভাগের প্রধান ডা. শহিদুল ইসলাম।

তিনি আরও জানান, এখন তার কিডনি পুরোটাই অকেজো হয়ে গেছে। তাই অতিদ্রুত দেশের বাইরে গিয়ে কিডনি অপারেশন করে তা প্রতিস্থাপন করতে হবে।

শফিকুলের বৃদ্ধ বাবা আবু তালেব বলেন, ‘আমাদের ভিটেমাটি ছাড়া আবাদি কোনো জমিজমা নাই। আমি ৩-৪ বছর ধরে পায়ের ব্যথায় চলাফেরা করতে পারছি না। এর মধ্যে আবার ছেলের এ অবস্থা, এত টাকা এখন আমরা কই পাই? ছেলের চিকিৎসার জন্য যদি কেউ সহযোগিতা করত, যতদিন বেঁচে থাকি তার জন্য দোয়া করতাম।’

শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি কাঠমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালাইতাম। হঠাৎ ৭-৮ বছর আগে আমার কিডনির সমস্যা হয়, অপারেশনও করি। ১ বছর আগে সমস্যা দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নেই। পুনরায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ডাক্তার বললেন, “একটি কিডনি সম্পন্ন প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে।”

তিনি আরও বলেন, আমার বাবা বৃদ্ধ হয়ে গেছে কাজ করতে পারেন না। এখন অনেক টাকার দরকার কই পাব? আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না।

জানা যায়, কিডনি অপারেশন করে তা প্রতিস্থাপন করতে ব্যয় হবে প্রায় ৫ লাখ টাকা। যা তার গরিব ও অসহায় পরিবারের পক্ষে খরচ বহন করা একেবারেই সম্ভব নয়।

এমতাবস্থায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে অসহায় শফিকুল এই সুন্দর পৃথিবীতে সকলের সঙ্গী হয়ে বেঁচে থাকতে সরকারি-বেসরকারিসহ সমাজের দানশীল ও বিত্তবানদের নিকট সহযোগিতার আকুতি জানান। 

সহযোগিতার হাত বাড়াতে ০১৭৪২৬৩৮১৮৭ (বিকাশ-পার্সোনাল) এই নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য শফিকুল অনুরোধ জানান।

এমএসআর