মেয়র আবদুল কাদের মির্জা

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, আমি জেলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি। দেড় মাস আগে থেকে আমি ওষুধপত্র ও জামাকাপড় নিয়ে জেলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি। এরপরও সাহস করে সত্য কথা বলবো। আমি মানসিকভাবে গুলি খাওয়ার জন্যও প্রস্তুত আছি। যতদিন বেঁচে আছি সাহস করে সত্য কথা বলবো। 

শনিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে নিজের অনুসারী স্বপন মাহমুদের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন। 

আবদুল কাদের মির্জা বলেন, বাংলা ভাই যেভাবে কর্মকাণ্ড চালাতেন ঠিক অনুরূপ কর্মকাণ্ড আজকে কোম্পানীগঞ্জে চলছে। এসব কর্মকাণ্ড উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশ ছাড়া হচ্ছে না। আজকে একরাম, নিজাম ও ইসরাতুন্নেসা সন্ত্রাসীদের দিয়ে প্রশাসনের ছত্রছায়ায় এখানে তাণ্ডব চলাচ্ছে। এসবের কারণ কেন আমি সাহস করে সত্য কথা বলেছি, কেন অপরাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলেছি, কেন আমি লুটপাটের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। 

তিনি আরও বলেন, আজ যারা আমার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে তারা সবাই মাদক, অস্ত্র, লুটপাটসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। এরা যদি নেতৃত্বে আসে তাহলে বাংলাদেশের মানুষ তা মেনে নেবে না। বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছেন তা কখনো বাস্তবায়ন হবে না।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আবদুল কাদের মির্জার ফেসবুক আইডি থেকে ‘শুক্রবার জুমার নামাজের সময় বায়তুল মোকাররম মসজিদ বোমা মেরে উড়িয়ে দিলে দেশে দুর্নীতিবাজের সংখ্যা কমে যাবে’ এমন একটি পোস্ট দেওয়া হয়। এর জেরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের ২০-২৫ জন সমর্থক কাদের মির্জার বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে একটি মিছিল বের করেন।

মিছিলটি বসুরহাট পৌরসভায় ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশের বাধায় তারা চলে যান। এরপর বিকেল সোয়া ৪টার দিকে মেয়র কাদের মির্জার ছেলে তাশিক মির্জার নেতৃত্বে অনুসারীরা থানার সামনে গেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটির অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হন।

পরে শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে ওই বাড়িতে থাকা ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে ৭টি মোটরসাইকেলে করে দুর্বৃত্তরা এসে ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় হাসান ইমাম রাসেল (৪২), দিদার চৌধুরী (৩০) ও মোবারক হোসেন রিয়াদ (৩০) নামে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

হাসিব আল আমিন/আরএআর