নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে ঈদের সেমাই
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে অস্বাস্থ্যকর, নোংরা পরিবেশে সেমাই তৈরি
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে অস্বাস্থ্যকর, নোংরা পরিবেশে সেমাই তৈরি ও গুদামজাত করা হচ্ছে। চাঁদপুর পুরান বাজারে প্রতি বছরের মতো এবারও বেশ কয়েকটি কারখানায় নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে সেমাই।
প্রতিদিন চাঁদপুরে বিভিন্ন কারখানায় তৈরি হচ্ছে প্রায় ৫০ মণ সেমাই। এসব সেমাই চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলা এবং কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর ও শরীয়তপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়।
বিজ্ঞাপন
কোনো প্রকার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ছাড়াই কারিগররা সেমাই তৈরির কাজ করে যাচ্ছেন। অনেক কারখানা গোয়ালঘরের পাশে। গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন প্রাণী যেকোনো সময় ঢুকে পড়ছে কারখানায়। নিম্নমানের ময়দা দিয়ে তৈরি করা এসব সেমাই ভাজা হচ্ছে দীর্ঘদিনের ব্যবহৃত পামওয়েল দিয়ে। কোনো প্রকার ঢাকনা ছাড়াই রেখে দেওয়া হচ্ছে খোলা স্থানে।
পুরান বাজারের বিভিন্ন কারখানায় দেখা গেছে, পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের বিল্লাল খানের হাজী বেকারি, পুরান বাজার নিতাইগঞ্জ রোডের মীম বেকারি, পুরান বাজার রয়েজ রোডের কমিউনিটি সেন্টারের সামনে মুনছুরের সেমাই কারখানা, নিতাইগঞ্জ রোডের আলম বেকারি, মেরকাটিজ রোডের জাহাঙ্গীর খানের সেমাই কারখানায় চলছে অস্বাস্থ্যকর ও মানহীন সেমাই তৈরি।
বিজ্ঞাপন
চাঁদপুরের মার্কেটিং কর্মকর্তা এনএম রেজাউল ইসলাম বলেন, মাহে রমজান ও ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে আমরা জেলার বিভিন্ন স্থানে নজরদারি রেখেছি। ভোক্তা অধিদফতর ও জেলা মার্কেটিং অফিস যৌথভাবে কাজ করছে। পুরন বাজারের সেমাই তৈরির কারখানায় প্রতি বছর অভিযান চালাই। কিন্তু কোনো নীয়মনীতির তোয়াক্কা করে না তারা। বিল্লাল খানের হাজী বেকারিকে এর আগেও জরিমানা করা হয়েছে। আমরা আবারও কারখানগুলোতে অভিযান চালাব।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, আমাদের ম্যাজিস্ট্রেটরা করোনাকালীন মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। পুরান বাজারের সেমাই কারখানায় প্রতি বছর অভিযান চালানো হয়। যারা এ বছরও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই তৈরি করছে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শরীফুল ইসলাম/এএম