মেয়র আবদুল কাদের মির্জা

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, কোম্পানীগঞ্জে শান্তির জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু সে আহ্বানে সাড়া না দিয়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে প্রশাসন। বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে আমার ছেলেদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। 

বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে নিজের অনুসারী স্বপন মাহমুদের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন। 

মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, আমার অফিস থেকে কেউ বের হতে ও ঢুকতে পারে না। এখানে আমাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। আমার ইফতার আনতে দেওয়া হচ্ছে না। একদিন সাহরিও আনতে দেওয়া হয় নাই। আমরা সাহরি ছাড়া রোজা রেখেছি এবং ইফতার ছাড়া রোজা ভেঙেছি। আমার রাজু নামের একটা ছেলেকে এখান থেকে গ্রেফতার করেছে। পৌরসভা হলো স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। এটা মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু কীভাবে এখান থেকে  রাজুকে প্রশাসন গ্রেফতার করে এবং অমানুষিক নির্যাতন করে। 

তিনি আরও বলেন, গত তিনদিনে আমার কর্মী নিজাম উদ্দিন মিকনসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে প্রশাসন। আমার ছেলেকে আহত করল। ইট দিয়ে মাথা ফাটিয়ে চৌচির করে দিয়েছে। কিন্তু একটা আসামি ধরল না প্রশাসন। আমার ছেলে অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে কাতরাচ্ছে। যারা হামলা করেছে তাদের গ্রেফতার না করে আমার ছেলেদের গ্রেফতার করে যাচ্ছে। 

প্রসঙ্গত, গত ১৬ জানুয়ারি বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে আবদুল কাদের মির্জা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে তিনি তিনবার মেয়র নির্বাচিত হন। নির্বাচনের আগে দলীয় নেতাকর্মীদের সমালোচনা করে আলোচনায় আসেন তিনি।

এরপর কাদের মির্জার সঙ্গে তার দলের বিরোধী পক্ষের সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ দুইজন নিহত হন। এসব ঘটনায় তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে আদালতে। ৩১ মার্চ নিজের ফেসবুক আইডি থেকে তিনি দল থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এ ছাড়া তিনি আর জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচন করবেন না বলেও ঘোষণা দেন।

গত বুধবার (২১ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৪টায় নিজের অনুসারী স্বপন মাহমুদের ফেসবুক থেকে লাইভে এসে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা কোম্পানীগঞ্জে স্বাভাবিক জনজীবন ফিরিয়ে আনতে শান্তির ডাক দেন।

হাসিব আল আমিন/আরএআর