পা নামিয়ে বসতে বলায় সাংবাদিককে মারধর
জাহিদুল ইসলাম জাহিদ
নরসিংদীতে জুমার নামাজের খুতবার সময় চেয়ারে পা উঠিয়ে বসার পর তা নামিয়ে ফেলতে বলায় স্থানীয় প্রভাবশালী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে পলাশ উপজেলার পলাশ শিল্পাঞ্চল কলেজ জামে মসজিদে ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যক্তির নাম জাহিদুল ইসলাম জাহিদ (৪০)। তিনি পলাশ রিপোর্টার্স ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি ও বাংলাদেশ বুলেটিনের পলাশ উপজেলা প্রতিনিধি।
বিজ্ঞাপন
অপরদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন পলাশ উপজেলার নতুনবাজার এলাকার মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে মঞ্জুর আলম (৬০)।
ভুক্তভোগী ব্যক্তি ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুপুর দেড়টার দিকে পলাশ শিল্পাঞ্চল কলেজ জামে মসজিদে জুমার খুতবা চলছিল। এ সময় মসজিদেই চেয়ারে বসে নামাজ পড়ার জন্য অপেক্ষমাণ ছিলেন অভিযুক্ত মঞ্জুর আলম। পাশেই বসে ছিলেন ভুক্তভোগী জাহিদুল।
এমন সময় হঠাৎ মঞ্জুর চেয়ারে বসেই পায়ের ওপর পা তুলে বসলে জাহিদ পা নামিয়ে বসতে বলেন। পরে সেখানে ঘটনা না বাড়লেরও নামাজ শেষে মঞ্জুরের সঙ্গে সাংবাদিক জাহিদের বাগবিতণ্ডা হয়।
বিজ্ঞাপন
একপর্যায়ে মঞ্জুরের দুই ছেলে সেতু ও রোহান জাহিদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এ সময় জাহিদ আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় সাংবাদিক আল আমিন মিয়া বলেন, মঞ্জুর আলম পা ওঠিয়ে বসার পর জাহিদ নামিয়ে ফেলার অনুরোধ করেন। এটা নিয়েই তর্ক বাঁধে। পরে নামাজ শেষে মঞ্জুর ও তার দুই ছেলেসহ জাহিদকে মারধর করে।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, পা ওঠানোর পর তার পা ছিল প্রায় আমার কাধের ওপর। পরে নামিয়ে ফেলতে বলায় আমাকে দেখে নেবে বলে হুমকি দেয়। নামাজ শেষে যেতে চাইলে তিনিসহ তার দুই ছেলে আমাকে মারধর করে।
পলাশ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) হুমায়ুন কবির ঢাকা পোস্টকে বলেন, তুচ্ছ একটা বিষয়কে কেন্দ্র করে এই মারধরে ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী সাংবাদিকের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাকিবুল ইসলাম/এমএসআর