রফিকুল ইসলাম মাদানী

গাজীপুর মহানগর পুলিশের বাসন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় দুইদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আলোচিত ‘শিশু বক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আবারও কামিশপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ ফেরত পাঠোনো হয়েছে। শনিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে তাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ পৌঁছে দিয়েছে পুলিশ।

নগরীর বাসন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গত বুধবার (২১ এপ্রিল) ভার্চুয়াল শুনানির মাধ্যমে গাজীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শেখ নাজমুন্নাহার রফিকুল ইসলাম মাদানীর দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে তাকে বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বাসন থানার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে আনা হয়। রিমান্ড শেষ হওয়ায় আজ শনিবার রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আদালত হাজির করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে তাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

ওসি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে রফিকুল ইসলাম মাদানী অনেক তথ্য দিয়েছেন। এখন আমরা এসব তথ্য যাচাই করে দেখব। পরে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এর আগে রাষ্ট্রবিরোধী উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় গত ৭ এপ্রিল রফিকুল ইসলাম মাদানীকে তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলার লেটিরকান্দা থেকে আটক করে র‍্যাব। পরদিন ৮ এপ্রিল র‍্যাব বাদী হয়ে গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। ১৩ এপ্রিল গাছা থানা পুলিশ রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে গাজীপুর আদালতে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে। পরে ১৫ এপ্রিল আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে বাসন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় গত বুধবার (২১ এপ্রিল) তার দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। 

রফিকুল ইসলাম মাদানী নেত্রকোনার পূর্বধলা থানার লেটিরকান্দা গ্রামের সাহাব উদ্দিনের ছেলে। 

শিহাব খান/আরএআর