রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) স্বল্প মূল্যে পণ্য বিক্রি কার্যক্রমে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে পাঁচ ডিলারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তাদের কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। বুধবার (২০ মার্চ) সন্ধ্যায় ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ তামান্না।

অভিযুক্তরা হলেন বেতগাড়ি ইউনিয়নের মেসার্স শাহ স্টোর গজঘণ্টা ইউনিয়নের মেসার্স মাহামুদ স্টোর, মেসার্স সাবির এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স মামুন এন্টারপ্রাইজ এবং উত্তর কোলকোন্দের মেসার্স নাফিজা এন্টারপ্রাইজ।

এর আগে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ তামান্না স্বাক্ষর করা এক চিঠিতে পাঁচ ডিলার প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শাতে বলা হয়। পত্র প্রাপ্তির তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

অভিযুক্ত এ পাঁচ ডিলারের বিরুদ্ধে প্রায় ৬০-৭০ জন ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ফেব্রুয়ারি মাসের পণ্য বিতরণ না করার অভিযোগ রয়েছে। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে ইউএনও নাহিদ তামান্না বলেন, তিন কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এদিকে গত সোমবার (১৮ মার্চ)  উপজেলার গজঘন্টা ইউনিয়ন পরিষদে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীদের পণ্য না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে অনেকেই ফেরত চলে যান। কিছু সংখ্যক কার্ডধারী উত্তেজিত হলে ডিলারের সঙ্গে চুক্তি করে ইউপি চেয়ারম্যান জনপ্রতি ২০০ টাকা দেন। এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত হতে দৈনিক একুশে সংবাদের গঙ্গাচড়া উপজেলা প্রতিনিধি ওয়াসিমুল বারী সিয়াম ঘটনাস্থলে গিয়ে কার্ডধারীদের সঙ্গে কথা বলে ভিডিও ধারণ করেন। এ সময় গজঘণ্টা ইউপি চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী নিজ কক্ষ থেকে বের হয়ে ওই সাংবাদিককে জনসম্মুখে লাঞ্ছিত করেন। মাইক্রোফোন ছিনিয়ে নেন ও মোবাইল ফোন ভাঙচুর করে পরিষদের একটি কক্ষে তাকে আটকে রাখেন।

ওই ঘটনার পরের দিন মঙ্গলবার গজঘন্টা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান লিয়াকত আলীকে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে স্থানীয় সাংবাদিকরা মানববন্ধন করেন। সেই মানববন্ধনে লিয়াকত আলীর নিকটতম লোকজন ব্যানার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করাসহ বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখানোর চেষ্টা করে।   

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এএএ