গাজীপুরের শ্রীপুরে মোটরসাইকেল চুরি সংক্রান্ত একটি মামলা তদন্তে গিয়ে পুলিশ আরও ৯টি মোটরসাইকেলের খোঁজ পেয়েছে। এ ঘটনায় আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক চুরির মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বুধবার (২০ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে শ্রীপুর থানায় সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান গাজীপুর জেলা পুলিশের কালিয়াকৈর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আজমীর হোসেন। 

এ সময় শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ জামান, পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাখাওয়াত হোসেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. এনায়েত কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের মূলহোতা কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ফিশারি রোড এলাকার সিরু মিয়ার ছেলে শিপন হোসেন (৩০), ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার আলীহরগাতি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে দুরন্ত খান (৩০), বৈতাগৈর গ্রামের চন্দন সরকারের ছেলে রঞ্জিত সরকার (২৯), নেত্রকোণার পশ্চিম বিলাশপুর গ্রামের মো. মুন্নাফের ছেলে রিপন মিয়া (২১) ও নান্দাইল উপজেলার সাগর (২১)।

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আজমীর হোসেন বলেন, গত ১০ মার্চ রাত দেড়টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার চন্নাপাড়া গ্রামের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশ থেকে এসএম পলাশের মালিকানাধীন একটি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় মামলার পর তদন্তে নামে শ্রীপুর থানা পুলিশ। তদন্তে নেমেই পুলিশ মোটরসাইকেল চোর চক্রের বড় এক সিন্ডিকেটের সন্ধান পায়। তদন্তে নেমে শ্রীপুর পৌর এলাকার চন্নাপাড়া থেকে দুরন্ত খান ও রঞ্চিত সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে মাওনা এলাকা থেকে শিপন হোসেনকে গ্রেপ্তার করে গাজীপুরের শ্রীপুর, ময়মনসিংহের গফরগাঁও, নান্দাইল, ঈশ্বরগঞ্জ, কিশোরগঞ্জের সদর, করিমগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় তাদের দেওয়া তথ্য ৯টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে রিপন মিয়া ও সাগরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা গাজীপুর, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, শেরপুর, জামালপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে থাকেন। এরা সংঘবদ্ধ চোর চক্র। শিপন মিয়ার বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা রয়েছে। সে বলেছে ৫/৬ বছর ধরে মোটরসাইকেল চুরির সাথে সম্পৃক্ত।

শ্রীপুর থানার ওসি মো. শাহজামান বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে আরও তদন্ত করা হচ্ছে।

শিহাব খান/আরএআর