শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

বগুড়ার গাবতলীতে বিষাক্ত মদপানে শহিদুল ইসলাম (২৮) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৪ এপ্রিল) রাত ২টার দিকে উপজেলার পশ্চিম মহিষাবান মধ্যপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। বিষাক্ত নেশাজাতীয় দ্রব্য পানে মৃত শহিদুল ইসলাম পশ্চিমমহিষাবান মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে।

এছাড়া নেশাজাতীয় দ্রব্য পানে হাসেন আলী ও মুলা মিয়া নামের ২ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

খবর পেয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (গাবতলী সার্কেল) সাবিনা ইয়াসমিন ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

অপরদিকে বিষাক্ত নেশাজাতীয় দ্রব্য বিক্রি করার সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোলাবাড়ী বন্দরের বিউটি হোমিও হলের মালিক ডা. বাহানুল আলম বাদলকে (৫৫) পুলিশ আটক করেছে। আটক ডা. বাহানুল আলম বাদল পূর্বমহিষাবান গ্রামের মৃত হাফিজার রহমান খোকার ছেলে।

এদিকে শনিবার বিকেলে মৃত শহিদুল ইসলামের পরিবার জানিয়েছে, বিষাক্ত নেশা জাতীয় দ্রব্য পানে নয়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শহিদুল ইসলাম মারা গেছেন।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, যেহেতু নেশা জাতীয় দ্রব্য পানে মৃত্যু হওয়ার অভিযোগ উঠেছে, সে জন্য লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়। মেডিকেল রির্পোট আসার পর বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া যাবে।

সাখাওয়াত হোসেন জনি/এমএসআর