লোকশিল্পীদের ভাতা প্রদানের দাবি কুদ্দুস বয়াতির
কুদ্দুস বয়াতি
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসহায় ও অসুস্থ লোকশিল্পীদের মাসিকভাতা প্রদানের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন দেশবরেণ্য লোকসংগীতশিল্পী কুদ্দুস বয়াতি।
রোববার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে কেন্দুয়া উপজেলার নওপাড়া গ্রামে এক আলাপচারিতায় ঢাকা পোস্টের মাধ্যমে সরকারের কাছে এ দাবির কথা তুলে ধরেন লোকসংগীতের মহাতারকা হিসেবে পরিচিত এই শিল্পী।
বিজ্ঞাপন
এ সময় তিনি বলেন, বর্তমান সরকার লোকশিল্পীদের নানাভাবে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে আসছেন। কিন্তু সরকারি এ সহায়তা সাময়িক উপকারে এলেও স্থায়ীভাবে কোনো কাজে আসছে না। তাই লোকশিল্পীদের প্রতি মাসে নির্দিষ্টহারে ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, আর তা বাস্তবায়নের জন্য দেশের লোকশিল্পীদের একটা তালিকা তৈরি করে অবিলম্বে ভাতা প্রদানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
কুদ্দুস বয়াতি বলেন, আমি হাওরাঞ্চলের কাদামাটি থেকে উঠে এসেছি। তাই লোকশিল্পীদের দুঃখ-কষ্ট বুঝি। তারা নিজের জীবনের সঙ্গে সংগ্রাম করে টিকে আছেন। অনেকেই বর্তমানে অসুস্থ। কারও ঘরে ভাত নেই। তাই এই শিল্পীদের বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।
বাংলাদেশের মূল পরিচয় এই লোকশিল্পীরাই বহন করছে উল্লেখ করে কুদ্দুস বয়াতি বলেন, দেশের মূল পরিচয়কে টিকিয়ে রাখতে হলে লোকশিল্পীদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে কুদ্দুস বয়াতি বলেন, মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আমার মা। এই মা আমার চিকিৎসার জন্য ২০ লাখ টাকা সহায়তা করেছেন। শুধু আমি না, আমার মতো হাজার হাজার অসুস্থ, অসচ্ছল ও অসহায় শিল্পীকে তিনি আর্থিক সহায়তা প্রদান করে আসছেন। তবে এভাবে সাময়িক অর্থ সহায়তা না করে লোকশিল্পীদের নিয়মিত মাসিক ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করাটা এখন সময়ের দাবি।
উল্লেখ্য, কুদ্দুস বয়াতি ১৯৪৯ সালে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের রাজিবপুর গ্রামে এক দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আরফান আলী এবং মাতা আমেনা খাতুন। পিতার হাত ধরে শিশুকাল থেকেই লোকসংগীতে হাতেখড়ি হয় কুদ্দুস বয়াতির।
জিয়াউর রহমান/এমএসআর