রংপুর জেলায় এবার ঈদে দুস্থদের জন্য ১৯ কোটি ৩ লাখ ১১ হাজার ৭৫০ টাকা বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। জেলার তিন পৌরসভা, আট উপজেলা ও ৭৬ ইউনিয়নের ২৪ লাখ ২২ হাজার ৯১৫ জন দুস্থ মানুষের মাঝে এই বরাদ্দ বিতরণ করা হবে।

রংপুর জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এটিএম আখতারুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি ঢাকা পোস্টকে জানান, প্রত্যেকটি উপজেলা, ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকায় দুস্থদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। ২ মে থেকে বিশেষ বরাদ্দের এই টাকা বিতরণ করা শুরু হবে।

ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার রংপুর সদর, তারাগঞ্জ, বদরগঞ্জ, পীরগঞ্জ, গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া, পীরগাছা ও মিঠাপুকুর উপজেলায় সরকারের এই বিশেষ বরাদ্দ রয়েছে। এছাড়া পৌরসভার মধ্যে হারাগাছ, বদরগঞ্জ ও পীরগঞ্জ পৌরবাসীও অর্থ সহায়তা পাবেন।

জেলায় বরাদ্দের দিক দিয়ে সবচেয়ে বেশি টাকা বিতরণ করা হবে মিঠাপুকুর উপজেলায়। এখানে বিতরণ হবে ৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। আর সবচেয়ে কম ১ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে রংপুর সদর উপজেলায়।

সূত্র আরও জানায়, কাউনিয়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৪৪ হাজার ৮৪৫ জন দুস্থ ব্যক্তির মধ্যে ২ কোটি ১৮ লাখ ৪ হাজার ৩০০ টাকা, বদরগঞ্জ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ৫৫ হাজার ৬২৪ জনের মাঝে ২ কোটি ৫০ লাখ ৩০ হাজার ৮০০ টাকা বিতরণ করা হবে।

তারাগঞ্জ উপজেলার ৫ ইউনিয়নে ২৭ হাজার ২৯৯ জনের মধ্যে ১ কোটি ২২ লাখ ৮৪ হাজার ৫৫০ টাকা ও গঙ্গাচড়া উপজেলার ৯ ইউনিয়নে ৫০ হাজার ৫৫৮ জন দুস্থদের মধ্যে ২ কোটি ২৭ লাখ ৫১ হাজার ১০০, পীরগঞ্জের ১৭ ইউনিয়নের ৬৭ হাজার ৭৫০ জনের মধ্যে ৩ কোটি ৪৮ লাখ ৭ হাজার ৫০০ টাকা বিতরণ করা হবে।

এছাড়া মিঠাপুকুরের ১৭টি ইউনিয়নে ৮৯ হাজার ১০১ জনের মাঝে ৪ কোটি ৯৫ হাজার ৪৫০ টাকা, পীরগাছার ৯ ইউনিয়নের ৫৪ হাজার ৭০৩ জনের মধ্যে ২ কোটি ৫৬ লাখ ১৬ হাজার ৩৫০ এবং রংপুর সদর উপজেলার ৫ ইউনিয়নের ২৬ হাজার ৮৬৫ জন দুস্থদের মাঝে ১ কোটি ২০ লাখ ৮৯ হাজার ২৫০ টাকা বিতরণ করা হবে।

এটিএম আখতারুজ্জামান জানান, রংপুর জেলার ৮ উপজেলার ৭৬ ইউনিয়ন ও ৩ পৌরসভা এলাকায় দুস্থদের তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবার ভিজিএফ কার্ডে প্রথমবারের মতো ছবি ব্যবহার করা হবে। যাতে করে অন্য কেউ টাকা আরেকজনের টাকা তুলতে না পারে।

তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরসভার মেয়রদের কাছে টাকা পৌঁছে যাবে। আগামী রোববার থেকে বিশেষ বরাদ্দের এই টাকা বিতরণ শুরু হবে।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমএসআর