জুসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অটোবাইক ছিনতাইয়ের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার

রংপুরের মিঠাপুকুরে জুসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অটোবাইক ছিনতাইয়ের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

গ্রেফতাররা অজ্ঞান পার্টির সক্রিয় সদস্য। তাদের কাছ থেকে ব্যাটারিচালিত দুটি অটোবাইক, একটি মোটরসাইকেল, সাতটি মোবাইল ও নগদ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৮ এপ্রিল) গভীর রাতে মিঠাপুকুর উপজেলার ভাংনি এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়। রংপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ডি-সার্কেল, মিঠাপুকুর-পীরগঞ্জ) মো. কামরুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতাররা হলেন কাফ্রিখাল ইউনিয়নের আব্দুল ওহাবের ছেলে নুর আলম (৩৮), পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের রশিদ বেপারীর মেয়ে সাথী আক্তার সুমাইয়া (১৮) ও বরিশালের বাকেরগঞ্জের স্বপন জমারদারের মেয়ে সাথী আক্তার সুমি (২০)।

পুলিশ জানায়, ১২ মার্চ জুসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে আব্দুর রাজ্জাক নামের এক যুবকের অটোবাইক ছিনতাই করেন অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা। আব্দুর রাজ্জাক পীরগঞ্জ উপজেলার পদ্মহারপুর গ্রামের মফেজ উদ্দিনের ছেলে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানায় আব্দুর রাজ্জাক একটি অভিযোগ দেন।

অভিযোগের সূত্র ধরে বুধবার (২৮ মার্চ) রাতে উপজেলার ভাংনি থেকে অজ্ঞান পার্টির মূল হোতাসহ তিন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে গ্রেফতারদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একটি ব্যাটারিচালিক অটোবাইক, একটি অটোরিকশা, একটি মোটরসাইকেল, সাতটি চোরাই মোবাইল, নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ চোরাইকাজে ব্যবহৃত চারটি সেলাইরেঞ্চ, একটি পাইপরেঞ্চ ও দুটি স্টাররেঞ্চ উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অজ্ঞাত পার্টির চক্রের প্রধান সদস্য নূর আলম ওই ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন। তারা প্রথমে যাত্রী বেশে অটোবাইক, অটোরিকশা কিংবা মোটরসাইকেল ভাড়া করেন। তারপর চালকের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক স্থাপন করে জুসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে  অচেতন করেন। সুবিধামতো স্থানে নিয়ে চালককে ফেলে রেখে তাদের অটোবাইক, মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, মোবাইল ও টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করতেন। পরে ওসব জিনিসের রং পরিবর্তন করে বিক্রি করে টাকা ভাগাভাগি করতেন অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা। এ পর্যন্ত চক্রটি ১৬টির বেশি ঘটনায় জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন।

গ্রেফতারদের বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে কামরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় মিঠাপুকুর থানায় মামলা হয়েছে। চক্রটির সদস্যদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্য ঘটনাগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এএম