কুড়িগ্রাম সদর জেনারেল হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার শিশু ওয়ার্ডে খসে পড়েছে ছাদের পলেস্তারা। এতে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন ওই বিভাগের চিকিৎসা নিতে আসা শিশু ও তাদের অভিভাবকরা।

বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে শিশু ওয়ার্ডের দ্বিতীয় তলা এ ঘটনা ঘটে। তবে এ অবস্থায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে সেখানকার চিকিৎসারত রোগীরা।

দুর্ঘটনা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে যায় চিকিৎসা নিতে আসা নওশিদ তাবাচ্ছুমস নুবা নামের এক শিশু। তার মা সুরজিনা আক্তার ঢাকা পোস্টকে বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে আমার সন্তান এখানে শুয়ে ছিল। এ সময় ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে। আমার সন্তান আমার কোলে বসার কারণে সে দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যায়। এখন সব সময় ভয় কাজ করে, কখন আবার খসে পড়ে।

শিশু বিভাগের বারান্দায় চিকিৎসা নেওয়া আরেক শিশুর অভিভাবক লাকি আক্তার বলেন, ছাদের যেখানে ফাটল দেখা দিয়েছে, তার নিচে আমার শিশুর বেড। আমি ভয়ে রয়েছি যে আবার এ রকম ঘটনা ঘটে কি না।

সরেজমিনে দেখা যায়, শিশু ওর্য়াডের বারান্দার ছাদে কয়েকটি ফাটল হয়ে আছে। এ ছাড়া পুরুষ বিভাগের ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ড, মহিলা বিভাগের ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বারান্দাগুলোর ছাদের একই অবস্থা। সেখানকার পলেস্তারাগুলোও খসে পড়তে পারে যেকোনো সময়।

এ বিষয়ে জানতে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. পুলক কুমার রায়কে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারব না। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারবেন।

মো. জুয়েল রানা/এনএ