অভয়নগরে মাদ্রাসা সভাপতির বাড়িতে ৫ বস্তা বই
অভয়নগরে মাদ্রাসা সভাপতির বাড়ি থেকে ৫ বস্তা সরকারি বই উদ্ধার
যশোরের অভয়নগরে মাদ্রাসা সভাপতির বাড়ি থেকে ৫ বস্তা সরকারি বই উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার নর্থবেঙ্গল রোড সংলগ্ন বাসায় অভিযান চালিয়ে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ১ম ও ২য় শ্রেণির ৫ বস্তা সরকারি বই উদ্ধার করা হয়।
অভিযান চলাকালে আনোয়ার মাস্টার নামে ওই মাদ্রাসার সভাপতি পালিয়ে যান। তিনি মৃত হান্নান মোড়লের ছেলে ও নওয়াপাড়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার দীর্ঘদিন ধরে সভাপতি পদে রয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নওয়াপাড়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষককে ব্যবহার করে কৌশলে শিক্ষা কার্যালয় থেকে বেশি বই বরাদ্দ নিতেন।
বিজ্ঞাপন
মাদ্রাসায় বই বিতরণ শেষে সেগুলো তার বাড়িতে রাখতেন। একপর্যায়ে তিনি স্থানীয় বাজারে নিয়ে বিক্রি করেন। শনিবার সকালে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৫ বস্তা বই তার বাসা থেকে উদ্ধার করে।
অভয়নগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শহিদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে জানান, সরকারি বই মাদ্রাসায় না রেখে সভাপতির বাড়িতে রাখার অপরাধে ইতোমধ্যে প্রধান শিক্ষক আবদুল ওয়াদুদ মোল্যাকে শোকজ করা হয়েছে।
পাশাপাশি উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে আহ্বায়ক করে ৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মাদ্রাসার অনেক সময় বই বেশি থাকতে পারে। কিন্তু কেউ তা বিক্রি করতে পারেন না।
বিজ্ঞাপন
শিক্ষার্থীর চেয়ে বেশি বই বরাদ্দ ও সভাপতির বাড়ি কীভাবে বই গেল— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাদ্রাসার চাহিদাপত্র অনুযায়ী বই বরাদ্দ দেওয়া হয়। সে সময় মাদ্রাসা থেকে চাহিদা হয়তো বেশি দিয়ে থাকতে পারে। তবে বস্তায় নতুন পুরাতনসহ কয়েক বছরের বই রয়েছে।
প্রধান শিক্ষক আবদুল ওয়াদুদ মোল্যার কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, মহামারি করোনায় প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ থাকায় এবং মাদ্রাসায় ভালো ঘর না থাকায় সভাপতির বাড়িতে বইগুলো রাখা হয়েছিল।
নওয়াপাড়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার সভাপতি আনোয়ার মাস্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তার মোবাইল নাম্বার বন্ধ থাকায় কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়েছে।
এমএসআর