‘আল্লাহ ছাড়া আমার কেউ নেই। আমার কোনো ভাইও নেই। স্বামী মারা গেছেন ৯ বছর আগে। ননদের  (স্বামীর বড় বোন) জায়গায় থাকি। দুপুরের ঝড়ে শেষ সম্বল ঘরটুকুও উড়ে গেছে। এখন আমি কোথায় যাব।’ 

মঙ্গলবার (৪ মে) দুপুরের কালবৈশাখী ঝড়ে শেষ সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব বিধবা মনোয়ারা বেগম এভাবেই নিজের দুঃখের কথা বলছিলেন। তার বাড়ি নোয়াখালী সদর উপজেলার নেওয়াজপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুরে। স্বামীর নাম বেলায়েত হোসেন। 

বাহাদুরপুর গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ সজিব ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ দুপুরের বৃষ্টি আর কালবৈশাখী ঝড়ে মনোয়ারা বেগমের জরাজীর্ণ ঘরটি উড়ে গেছে। তিনি এতটা অসহায় যে তার মাথা গোঁজার ঠাঁই টুকুও নেই। 

তিনি বলেন, মনোয়ারা বেগমের স্বামী মারা গেছেন ৯ বছর হলো। তিন মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে এখন কোথাও থাকার জায়গা নেই তার। কেউ যদি অসহায় বিধবার প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতো তাহলে পরিবারটির অনেক উপকার হতো।

মনোয়ারা বেগম ঢাকা পোস্টকে বলেন, কত মানুষের দ্বারে দ্বারে গেছি একটা বিধবা ভাতার কার্ডের জন্য, কেউ সাহায্য করেনি। এখন এই ভাঙা ঘরে রাত কাটানো ছাড়া কোনো উপায় নেই। আমার কোনো ভাই নেই যে তার কাছে গিয়ে থাকবো। 

নেওয়াজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ এইচ বাহাদুর ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিধবা মনোয়ারা বেগম চার সন্তান নিয়ে খুব কষ্টে জীবনযাপন করেন। তার ঘরটুকু ছাড়া আর কিছুই নেই। আমি কাল সকালে তার বাড়িতে যাব। আমার পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার চেষ্টা করব। 

হাসিব আল আমিন/আরএআর