শরীয়তপুরের ডামুড্যায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ধীরেন চন্দ্র শীল (৫০) নামে এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার (০৬ মে) সকালে উপজেলার বিশাকুড়ি চন্দ্র পাড়া থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

ধীরেন চন্দ্র শীল বরিশালের মুলাদী উপজেলার রামচর গ্রামের লক্ষণ চন্দ্র শীলের ছেলে। তার ৬ মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। তিনি মুলাদীতে নরসুন্দরের কাজ করতেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাজের সন্ধানে ডামুড্যায় বোনের বাড়ি এসেছিলেন ধীরেন চন্দ্র। করোনায় কাজ না থাকায় এলাকায় অনেক ঋণে জড়িয়ে যায়। এ নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় ছিলেন। এর আগেও তিনি বেশ কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বৃহস্পতিবার (৬ মে) সকালে বিশাকুড়ি চন্দ্র পাড়ায় বোনের বাড়ির পাশের গাছের সঙ্গে ঝুলতে দেখে বাড়ির লোকজন পুলিশকে খবর দেয়।

ধীরেন চন্দ্র শীলের বোন দীপু রানী বলেন, আমি সকালে পূজা করার জন্য ফুল তুলতে বের হয়। ফুল গাছের কাছে আসতেই দেখি ধীরেন গাছের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে ঝুলছে। আমি চিৎকার দিলে বাড়ির লোকজন ছুটে আসে।

তিনি আরও বলেন, ধীরেন নিজ এলাকায় নরসুন্দরের কাজ করত। আমাদের এখানে এসেছিল কাজের খোঁজে। ওদের ওদিকে কাজ নেই তেমন। এ ছাড়া পরিবার নিয়ে অনেক চিন্তায় ছিল। রোজগার না থাকায় ওর অনেক ঋণ ছিল। আমাকে মাঝে মধ্যেই বলতো, দিদি আমাকে ওরা ধরে নিয়ে যাবে। কিন্তু কারা নিয়ে যাবে তা বলত না।

ডামুড্যা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমারত হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা মরদেহ উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠাচ্ছি। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হবে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এসপি