গ্রেফতার রিকশাচালক হাসান

অ‌তি‌রিক্ত মদপান করে রিকশা ভাড়ার টাকা না দেওয়ার কারণে খুন করা হয়েছেন সোহাগ প‌রিবহনের হেলপার সা‌ব্বির হোসেন। এ ঘটনায় রিকশাচালক হাসানকে অ‌ভিযুক্ত ক‌রে খুলনা আদাল‌তে অ‌ভি‌যোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্প‌তিবার (০৬ মে) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত দাশ খুলনার চিফ মেট্রোপ‌লিটন আদালতে এ অ‌ভি‌যোগপত্র দেন।

এসআই সুকান্ত দাশ বলেন, তিন মাস পর মামলার তদন্ত শেষে আদাল‌তে অ‌ভি‌যোগপত্র দিয়েছি। গ্রেফতারকৃত রিকশাচালক হাসান খুবই চতুর। প্রথ‌মে ঘটনার কথা এড়ানোর চেষ্টা ক‌রে‌ছিল। কিন্তু কৌশল অবলম্বন ক‌রে তার কাছ থে‌কে তথ্য বের করা হ‌য়ে‌ছে। 

তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়া‌রি রাতে সোহাগ প‌রিবহ‌নের এক‌টি গা‌ড়ি নগরীর শিববা‌ড়ি মো‌ড়ে রাখা হয়। হেলপার সা‌ব্বির গা‌ড়ি প‌রিষ্কার কর‌ছিল। কিছুক্ষণ পর রিকশাচালক হাসান গা‌ড়ির সাম‌নে এলে সা‌ব্বির মাদ‌কের কথা বল‌লে হেলাতলায় নিয়ে মদপান করা‌নো হয়। 

এরপর তারা শিববা‌ড়ি মো‌ড়ে ফি‌রে আ‌সে। তখন রিকশাচালক বাসের হেলপারের কাছে ভাড়া ও মদপানের ১৫০ টাকা চাওয়ায় গালমন্দ ও মারধর শুরু ক‌রে।

এ নিয়ে উভ‌য়ের ম‌ধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। প‌রে হাসান রিকশার ছি‌টের নিচ থে‌কে ধারা‌লো ছু‌রি বের করে সা‌ব্বিরের গলা কেটে হত্যা ক‌রে। এ ঘটনায় সা‌ব্বি‌রের বাবা অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা ক‌রেন।

এসআই সুকান্ত দাশ আরও বলেন, ঘটনার রহস্য খুঁজ‌তে গি‌য়ে পুলিশ বাসের সাম‌নে পরিত্যক্ত এ‌ক‌টি রিকশা পায়। রিকশাচালক হাসানকে রিকশা দেওয়ার জন্য বা‌ড়ি গে‌লে তার গলায় ও শরী‌রে আঁচড়ের দাগ দে‌খে স‌ন্দেহ বে‌ড়ে যায়। সেদিনই তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথ‌মিক জিজ্ঞাসাবা‌দে পু‌লি‌শের কা‌ছে হত্যাকা‌ণ্ডের বিবরণ দেয় হাসান। পরবর্তী‌তে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

মোহাম্মদ মিলন/এএম