সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই ঈদে ঘরমুখী মানুষ বাড়ি ফিরছে

ঈদুল ফিতরের বাকি কয়েক দিন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারাদেশে চলছে সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ। এরই মধ্যে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে সাধারণ যাত্রী ও ছোট গাড়ির চাপ বাড়ছে।

শুক্রবার (৭ মে) সকালের দিকে ঈদে ঘরমুখী মানুষের সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও দুপুরে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকা স্বাভাবিক হয় বলে জানিয়েছে ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ।
 
ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২১টি জেলার যাত্রী ও যানবাহন এই নৌপথ ব্যবহার করে রাজধানীর সঙ্গে যাতায়াত করে থাকে। করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ থাকায় দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ থাকায় মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার, কাটা গাড়ি ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়িতে ঘাটে আসছে যাত্রীরা।

এসব যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে এ নৌপথে ১৫টি ফেরির মধ্যে ৮টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। তবে সকালের দিকে যাত্রীর ছোট গাড়ির চাপ থাকায় ১৫টি ফেরিই নৌপথে চলাচল করেছে। তবে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই ঈদে ঘরমুখী মানুষ বাড়ি ফিরছে। এতে করোনা সংক্রমণ বাড়ার শঙ্কাও রয়েছে বলে জানায় ঘাট কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. জিল্লুর রহমান ঢাকা পোস্টকে জানান, বেলা ১১টা পর্যন্ত পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় যাত্রী ও ছোট গাড়ির চাপ ছিল। ফলে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ১৫টি ফেরি চলাচল করেছে। তবে দুপুরে দিকে ঘাট স্বাভাবিক হয়ে যায়। বর্তমানে যাত্রী ও যান পারাপারে নৌপথে ৮টি ফেরি চলাচল করছে।

তবে ঘাটে পর্যাপ্ত ফেরি রয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের সংখ্যা বাড়লে নৌপথে ফেরির সংখ্যাও বাড়ানো হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
 
সোহেল হোসেন/এনএ