রংপুরে বেগম রোকেয়ার ভাস্কর্য ‌‘আলোকবর্তিকা’ উন্মোচন

রংপুর নগরের শালবন ইন্দ্রিরা মোড়ে বেগম রোকেয়ার ভাস্কর্য ‌‘আলোকবর্তিকা’ উন্মোচন করা হয়েছে। বুধবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রোকেয়া দিবসে ভাস্কর অনীক রেজা লাল কাপড়ে মোড়ানো ভাস্কর্যটি উন্মোচন করেন। এ সময় সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজের বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও স্থানীয় সংস্কৃতিকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

রংপুর সিটি কর্পোরেশনের (রসিক) অর্থায়নে ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হয়েছে। এর উচ্চতা মাটি থেকে ২০ ফুট। এর মধ্যে শুধু পাথর-কংক্রিট থেকে বেরিয়ে আসা রোকেয়ার অবয়ব লম্বায় প্রায় ১২ ফুট। সমাজ পরিবর্তনে শিক্ষার শক্তি নিয়ে বেরিয়ে আসা রোকেয়ার এই ভাস্কর্যে জন্ম-মৃত্যু সন উল্লেখসহ তার লেখা কিছু বই ও বাণী রয়েছে।

এদিকে রসিকের অর্থায়নে রোকেয়ার ভাস্কর্য  নির্মিত হলেও ভাস্কর্য উন্মোচন অনুষ্ঠানে তাদের কোনো কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিকে দেখা যায়নি। এ নিয়ে অনুষ্ঠানে বক্তব্যে ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করেন অতিথিরা।

এ ব্যাপারে ভাস্কর অনীক রেজা বলেন, ভাস্কর্য  নির্মাণ কাজ শেষে এটি উদ্বোধনের জন্য সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান, প্যানেল মেয়র মাহমুদুর রহমান টিটুসহ সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছি। কিন্তু তারা আমাকে এটি উন্মোচন করার অনুমতি দিয়েছেন। অনুষ্ঠানে তাদের কারও না আসার ব্যাপারে আমি ব্যাখ্যা দিতে পারব না।

রসিক সূত্রে জানা গেছে,  রংপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র প্রয়াত সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টুর আমলে (২০১৩-২০১৭) নগরীর শালবন ইন্দ্রিরা মোড়ে বেগম রোকেয়ার ভাস্কর্য নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। ২০১৬ সালের ৭ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে আলোকবর্তিকা নামে ভাস্কর্যটি নির্মাণে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মেয়র সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু।

এরপর ভাস্কর অনীক রেজা তার গ্রামের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার মকিমপুরে রোকেয়ার অবয়ব তৈরির কাজ শুরু করেন। ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে দুর্বৃত্তরা তার গ্রামের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাস্কর্যটি ভাঙচুর করে। এ ঘটনার পর থমকে থাকে নির্মাণ কাজ। এর মধ্যে নতুন করে আবার অবয়ব তৈরি করে এ বছরের মার্চের দিকে শালবন ইন্দ্রিরা মোড়ে তা স্থাপন করা হয়। করোনা পরিস্থিতিতে কয়েক মাস কাজ বন্ধ থাকে। আগস্টের মধ্য থেকে টানা সাড়ে তিন মাসের কাজ শেষে ৫ ডিসেম্বর বেগম রোকেয়ার আলোকবর্তিকা পূর্ণতা পায়। 

আরএআর