রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের পন্টুনের তার ছিঁড়ে মাইক্রোবাসসহ পদ্মা নদীতে পড়ে নিখোঁজের দুইদিন পর চালক মো. মারুফ হোসেনের (৪৪) মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। বৃহস্পতিবার(১৩ মে) সকালে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের পদ্মা নদীর ৭ নম্বর ফেরিঘাট এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। 

পুলিশ জানায়,  পদ্মা নদীর ৭ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় একটি মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। পরে দৌলতদিয়ায় অপেক্ষমান নিহতের দুই ভাই ও স্বজনদের খবর দেন নৌ পুলিশের পরিদর্শক মো. মুন্নাফ আলী। তারা মরদেহটি শনাক্ত করেন। 

নিহত মারুফ হোসেন সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার সুন্দরারচক গ্রামের মৃত মানিক হোসেনের ছেলে।

দৌলতদিয়া নৌ পুলিশের পরিদর্শক মুন্নাফ আলী বলেন, ঘটনার পর থেকেই আমরা পদ্মা নদীতে নজর রেখেছিলাম। স্থানীয় এক সোর্স খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহতের পরিবারের সদস্যরা মরদেহ শনাক্ত করেছেন। উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে পরামর্শ করে মরদেহটি পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এর আগে গত মঙ্গলবার (১১ মে) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে মাইক্রোবাসটি দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ঘাটের পন্টুন থেকে পদ্মা নদীতে পড়ে যায়। প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাসে পন্টুনের তার ছিঁড়ে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। টানা দুই ঘণ্টা উদ্ধার তৎপরতা শেষে মাইক্রোবাসটিকে ওপরে তুলতে সক্ষম হন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। তবে চালক নিখোঁজ ছিলেন। 

মীর সামসুজ্জামান/আরএআর