ঈদ উদযাপন শেষে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ভিড় বাড়ছে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে। তবে গণপরিবহনের সংকট থাকায় স্বল্প দূরত্বের বাস, মিনিবাস, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় ভোগান্তিকে সঙ্গী করে কর্মস্থলে ফিরছেন মানুষ।

ভোর ৫টায় জামালপুর থেকে রওনা হয়েছেন গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক শফিকুল ইসলাম। সকাল সাড়ে ৮টায় তার সঙ্গে কথা হয় মহাসড়কের জৈনাবাজার এলাকায়। তিনি বলেন, ট্রাক-পিকআপে করে ঈদে বাড়ি যেতে খুব কষ্ট হয়েছে। স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ শেষে কর্মস্থলে ফিরতেও একই ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

সকাল ৬টায় মুক্তাগাছা থেকে রাজধানীর উত্তরার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন আশিকুল ইসলাম। তিনি জানান, অনেক সময় অপেক্ষা করেও গণপরিবহন পাননি। তাই ভেঙে ভেঙে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। প্রথমে এক বন্ধুর মোটরসাইকেলে তিনি ত্রিশাল পর্যন্ত আসেন। 

পরে সেখান থেকে সিএনজিচোলিত অটোরিকশাযোগে ভালুকায় আসেন। সেখান থেকে অন্য একটি সিএনজিযোগে ময়মনসিংহ ও গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় আসেন। সেখান থেকে অন্য একটি গাড়িযোগে বাকী পথ যাবেন বলে জানান।

গাজীপুরের মাওনা চৌরাস্তা এলাকার একটি মোবাইল কোম্পানিতে সেলসম্যান হিসেবে চাকরি করেন মামুন হাসান। তিনি বলেন, নেত্রকোনা থেকে বাসে দেড়শ টাকা ভাড়ায় ময়মনসিংহ এসেছেন। তারপর তিনশ টাকা ভাড়ায় ঢাকাগামী শ্যামলী বাংলা পরিবহনে মাওনা চৌরাস্তায় নেমেছেন। নেত্রকোনা থেকে ময়মনসিংহের অন্যান্য সময়ে ভাড়া ৫৫ টাকা ও ময়মনসিংহ থেকে মাওনা চৌরাস্তার ভাড়া ৮০ থেকে ১০০ টাকা। অতিরিক্ত ভাড়ার চেয়ে ভোগান্তি ছাড়াই নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছানোয় বড় কথা।

শিহাব খান/এসপি