মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রী ও গাড়ির চাপ নেই। মঙ্গলবার (১৮ মে) সকাল থেকে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে গাড়ি ও যাত্রী বোঝাই ফেরি ছেড়ে এলেও শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রীদের চাপ নেই।

তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় শিমুলিয়া ঘাটে এসে যাত্রীদের ঢাকাসহ গন্তব্যে ফিরতে পোহাতে হচ্ছে বিড়ম্বনা। গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। এখন অধিকাংশ যাত্রীর ভরসা সিএনজিচালিত অটোরিকশা। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে চালকরা ২-৩ গুণ বেশি ভাড়া আদায় করছে বলে যাত্রীদের অভিযোগ।

সরেজমিনে দেখা যায়, শিমুলিয়ার তিনটি ফেরিঘাটের সামনে সারি সারি করে সিএনজি রাখা হয়েছে। প্রতিটি সিএনজিতে ৫/৬ জন করে যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধির একবারে তোয়াক্কা করছে না এসব পরিবহন।

সিএনজিগুলো অন্য সময় শিমুলিয়া ঘাট থেকে জনপ্রতি ঢাকার পোস্তগোলা, নয়াবাজার, নারায়ণগঞ্জে ১৫০ টাকা, সায়েদাবাদে ১৫০-১৭০ টাকা, মোহাম্মদপুরে ৩০০ টাকা, মুন্সিগঞ্জ সদর, মুক্তারপুরে ১০০ টাকা ভাড়ায় নিয়মিত যাতায়াত করত। তবে বর্তমানে প্রতিটি রুটেই ২-৩ গুণ বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের।

বর্তমানে শিমুুলিয়া ঘাট থেকে পোস্তগোলা ও নয়াবাজারে ৩০০ টাকা, সায়েদাবাদে ৩৫০/৪০০ টাকা, মোহাম্মদপুরে ৫০০/৬০০ টাকা, মুন্সিগঞ্জ সদর, মুক্তারপুরে ২০০ টাকা ও নারায়ণগঞ্জে ৩০০/৪০০ টাকা দিয়ে যেতে হচ্ছে যাত্রীদের।

আনোয়ার হোসেন নামে এক যাত্রী বলেন, ভাই অন্যের চাকরি করি। চাকরি বাঁচাতে হলে কর্মস্থলে ফিরতে হবে। তাই দ্বিগুণ ভাড়া দিয়েই যাচ্ছি।

শিমুলিয়া ঘাট থেকে ঢাকার সায়েদাবাদ যাচ্ছেন আবিদ হোসেন। তিনি বলেন, ১৫০ টাকার ভাড়া ৩০০ টাকা দিয়ে যাচ্ছি। তাও সবাইকে গাদাগাদি করে যেতে হচ্ছে। 

ঢাকায় ফেরা অপর যাত্রী কাউসার আহমেদ বলেন, সিএনজিতে গাদাগাদি করেই ফিরতে হচ্ছে আমাদের। দিতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। সরকার গণপরিবহন খুলে দিলে এতো ভোগান্তি হতো না। ফেরিতে চাপাচাপি করে এলাম আবার সিএনজিতেও।

তবে যাত্রীদের অভিযোগ অস্বীকার করে সিএনজিচালক নাঈম হোসেন বলেন, ঢাকায় যাওয়ার সময় যাত্রী পেলেও আসতে হয় খালি। তাই ভাড়া কিছুটা বেশি না নিলে আমাদের পোষাবে না। বাধ্য হয়ে কিছুটা বেশি নিচ্ছি।

এ ব্যাপারে শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহম্মেদ বলেন, ঘাটে এখন ১৮টি ফেরি চলছে। ওপার থেকে যাত্রীরা ফেরিতে চড়ে আসছে। শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রী-গাড়ি কোনটারই চাপ নেই। তবে ওপারে কিছুটা চাপ রয়েছে।

ব.ম শামীম/এসপি