কর্মমুখী মানুষের ভিড় বাড়ছে দৌলতদিয়ায়
ঈদের ছুটি শেষে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় ফেরা অব্যাহত রয়েছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কর্মমুখী অনেক মানুষের। এসব মানুষ ও তাদের ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ অব্যাহত রয়েছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ রুটের ওপর।
মঙ্গলবার (১৮ মে) দৌলতদিয়া ঘাটে ঢাকামুখী মানুষের ব্যাপক ভিড় লক্ষ করা গেছে। তবে গত তিন দিনের চেয়ে আজ তা অনেক বেশি।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিন দেখা যায়, এই নৌ রুটে পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় যাত্রী ও যানবাহনগুলো অল্প সময়ের মধ্যে ফেরির নাগাল পাচ্ছে। প্রতিটি ফেরিতেই উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে । কিন্তু বরাবরের মতোই স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব উপেক্ষিত রয়েছে। প্রখর রোদ ও গরমে ফেরির যাত্রীরা অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। ঘাট এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য ও প্রশাসনের কঠোর নজরদারি দেখা গেছে। তবে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
আরও দেখা যায়, নদী পার হওয়ার জন্য শত শত মানুষ ফেরিঘাটগুলোয় ভিড় করছে। একটি ফেরি ঘাটে ভেড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ গাদাগাদি করে ফেরিতে উঠছে। এ সময় অনেককে ফেরি ছাড়ার মুহূর্তেও ঝুঁকি নিয়ে ফেরিতে উঠতে দেখা গেছে।
বিজ্ঞাপন
সংশ্লিষ্টরা জানান, ঈদের সংক্ষিপ্ত ছুটি শেষে গত রোববার থেকে খুলে গেছে সরকারি-বেসরকারি অধিকাংশ অফিস। যে কারণে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে রাজধানীগামী কর্মজীবী মানুষেরা কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন। তারা নানা ধকল সামলে দৌলতদিয়া ঘাটে আসছেন। তবে মোটরসাইকেল বা ব্যক্তিগত গাড়িযোগে আসা যাত্রীদের অনায়াসেই ঘাটে এসে ফেরিতে উঠে যেতে দেখা গেছে। বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. ফিরোজ শেখ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঈদ-পরবর্তী যাত্রী ও যানবাহন পারাপার নির্বিঘ্ন করতে এই নৌরুটে মোট ১৬টি ফেরি সচল রাখা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ তাদের ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে আসছে। তবে পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় তাদের ঘাটে বেশি সময় আটকে থাকতে হচ্ছে না।
যাত্রী পারাপার নির্বিঘ্ন করতে দিনের বেলায় এখনো পণ্যবাহী যানবাহন বন্ধ রাখা হয়েছে। সেগুলো রাতে পারাপার করা হচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
মীর সামসুজ্জামান/এনএ