৯ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২২
মির্জাপুরে দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাস
৯ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২২ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৯ মে) ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত এসব দুর্ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে টাঙ্গাইলে সাতজন, ফেনীতে চারজন, সিরাজগঞ্জে একজন, গাজীপুরে তিনজন, গোপালগঞ্জে একজন, চুয়াডাঙ্গায় একজন, সিলেটে একজন, মাদারীপুরে দুইজন ও কুষ্টিয়ায় দুইজন নিহত হয়েছেন। ঢাকা পোস্টের জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত-
টাঙ্গাইলে নিহত ৭
বিজ্ঞাপন
টাঙ্গাইলে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় সাতজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দাঁড়িয়ে থাকা কাভার্ডভ্যানে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় দুই ভাইসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও একজন। বুধবার (১৯ মে) ভোরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাকুল্লা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার টিয়াড়ি গ্রামের এমদাদুল হকের ছেলে গোলাম মন্ডল শামিম (৩০), তার ভাই সৌরভ মিয়া (২৫) ও মাইক্রোবাসের চালক (তার পরিচয় পাওয়া যায়নি)। আহত হয়েছেন শামিমের স্ত্রী মিম আক্তার।
বিজ্ঞাপন
মির্জাপুর ফায়ার সার্ভিসের সাবস্টেশন অফিসার আহমদ হোসেন ঢাকা পোস্টকে এ দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঠিকাদারসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন চারজন। এছাড়াও ঘাটাইল উপজেলার হামিদপুরে ট্রাকচাপায় অজ্ঞাত পরিচয় এক পথচারী নিহত হয়েছেন।
বুধবার (১৯ মে) সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সদর উপজেলার আশেকপুর বাইপাস সংলগ্ন ইন্দুটিয়া এবং ঘাটাইল উপজেলার হামিদপুরে এ দুটি দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত তিনজনের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি হলেন ভূঞাপুর উপজেলার রামপুর গ্রামের মৃত মতিউর রহমানের ছেলে খন্দকার আফজাল হোসেন (৩৮)।
আহতরা হলেন- ভুঞাপুর উপজেলার রামপুর গ্রামের সূর্যক্রান্তির ছেলে লহ্মণ (৩৫), জীবন (৩৫), মধুপুর উপজেলার বেরীবাইদ গ্রামের সামাদ মিয়ার ছেলে জুলহাস (৩২) ও কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ওয়াহেদ মিয়া (৪৫)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা মহাসড়ক থেকে টাঙ্গাইল শহরের দিকে আসার সময় আশেকপুর এলাকায় মোটরসাইকেলকে সাইড দিতে গিয়ে অপর দিক থেকে আসা সিএনজির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন নিহত হন। পরে আহত অবস্থায় চারজনকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ মো. নবীন জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
অন্যদিকে বুধবার (১৯ মে) বিকেলে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের করটিয়ার করাতিপাড়া এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সেলিম রেজা (২৯) নামে এক বিজিবি সদস্য নিহত হয়েছেন। তিনি পাবনার চাটমোহর উপজেলার মোজাহের মোল্লার ছেলে।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ মো. নবীন জানান, পাবনা থেকে বিজিবি সদস্য সেলিম ও কামরুজ্জামান নামে এক ব্যক্তি মোটরসাইকেলযোগে ঢাকা যাচ্ছিলেন। তারা টাঙ্গাইলের করটিয়া ইউনিয়নের করাতিপাড়া এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে সেলিম ও কামরুজ্জামান গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক সেলিমকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফেনীতে নিহত ৪
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় পিকআপভ্যান ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন। বুধবার (১৯ মে) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের বারিয়াপুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ থানার মো. আরিফুর রহমান ও হাজেরা বেগম। নিহত অপর দুইজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহত একজন ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তার বাড়ি ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার বক্সমাহমুদে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাগলনাইয়া থেকে যাত্রী নিয়ে অটোরিকশাটি শুভপুরের দিকে যাচ্ছিল। শুভপুরের বারিয়াপুল এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা পিকআপভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই একজন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনজন মারা যান। নিহতদের মধ্য দুইজনের মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে এবং অপর দুইজনের মরদেহ ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।
ছাগলনাইয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার পর পিকআপভ্যানসহ চালক পালিয়ে গেছেন। পুলিশ তাকে আটকের চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সিরাজগঞ্জে নিহত ১
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে মাইক্রোবাসচাপায় বাবুল শেখ (৩৫) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও একজন। বুধবার (১৯ মে) সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বাবুল শেখ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের শাহ জামালের ছেলে। এ ঘটনায় আহত তারিকুল শেখ (২২) নিহত বাবুলের ছোট ভাই।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহিন চৌধুরী বলেন, সকালে মোটরসাইকেল আরোহী দুই ভাই কোনাবাড়ী মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময় ঢাকা থেকে বগুড়াগামী মাইক্রোবাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে মোটরসাইকেল আরোহী বাবুল ও তারিকুল গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের না পেয়ে সদর হাসপাতালে যায়। সেখানে সকাল ৮টার দিকে বাবুল মারা যান। আহত তারিকুল শেখ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
গাজীপুরে নিহত ৩
গাজীপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে কালিয়াকৈর উপজেলার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সূত্রাপুর এলাকায় পিকআপ ভ্যানের চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। আরও এক আরোহী আহত হয়ে হাসপাতাল ভর্তি আছেন। বুধবার (১৯ মে) বেলা ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে গোড়াই হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত দুইজনের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি হলেন টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার নগর কাওয়ালী গ্রামের বেটু খানের ছেলে শফিক (৩৬)। আহত সজিব (২৬) টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার আক্তারামপাড়া গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে।
গোড়াই হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট শরিফুল ইসলাম জানান, কালিয়াকৈর সদর থেকে পার্শ্ববর্তী টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেল যোগে শফিকসহ তিন যুবক রওনা দেন। মোটরসাইকেলটি উপজেলার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সূত্রাপুর এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপ ভ্যান সেটিকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা শফিকসহ দুজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন এবং অপর অরোহী সজিব আহত হন। স্থানীয়রা আহত সজিবকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে।
অপরদিকে গাজীপুরের শ্রীপুরে কাভার্ডভ্যানের চাপায় নাহিদ (২৫) নামে এক বাইসাইকেল আরোহী যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ঘাতক কাভার্ডভ্যান ও চালককে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয়রা। বুধবার (১৯ মে) বিকেল ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নাহিদ গাজীপুরের কালিগঞ্জ উপজেলার ভাগুন গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে।
শ্রীপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ চন্দ্র সরকার জানান, উপজেলার প্রহলাদপুর ইউনিয়নের চরদমদমা পাঠামোর বিশ্বরোড এলাকায় হবিগঞ্জগামী একটি কাভার্ডভ্যান বাইসাইকেল আরোহী নাহিদকে পেছন থেকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই নাহিদের মৃত্যু হয়।
গোপালগঞ্জে নিহত ১
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে কাভার্ডভ্যানের চাপায় ফাইজুর মিয়া (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৯ মে) দুপুরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের উপজেলার তারাইল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ফাইজুর মিয়া গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার শুকতাইল গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানা পুলিশের ভাটিয়াপাড়া ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম জানান, ফাইজুর মিয়া একটি ভ্যানে করে কাশিয়ানী উপজেলা সদরে যাচ্ছিলেন। ভ্যানটি তারাইল পূর্বপাড়া এলাকায় সংযোগ সড়ক থেকে মহাসড়কে উঠছিল। এ সময় খুলনা থেকে ঢাকাগামী একটি কাভার্ডভ্যান ভ্যানটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে ভ্যানের যাত্রী ফাইজুর মিয়া নিহত হন। গুরুতর আহত হন ভ্যানচালক। আহত ভ্যানচালককে কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গায় নিহত ১
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় চাচাতো ভাইয়ের আমবোঝাই পিকআপের ধাক্কায় ইকবাল হোসেন (২০) এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৯ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার তালশারি ডিসি ইকোপার্ক সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ইকবাল হোসেন দামুড়হুদা উপজেলার চন্দ্রবাস উত্তরপাড়ার শহিদুল ইসলামের ছেলে ও দর্শনা সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক জানান, পিকআপের ধাক্কায় একজন মারা গেছেন। দুর্ঘটনাকবলিত পিকআপটি নিহত ইকবালের আপন চাচাতো ভাইয়ের। তাই তাদের পরিবার থেকে থানায় কোনো অভিযোগ করেনি। পরে নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সিলেটে নিহত ১
সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ওসমানীনগরে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মাদরাসাশিক্ষক মাওলানা মো. আমিরুল ইসলাম (৫৫) নিহত হয়েছেন। তিনি গোয়ালাবাজার এলাকার ব্রাহ্মণগ্রামের হযরত শাহজালাল ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ ছিলেন।
বুধবার (১৯ মে) দুপুর ১২টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ওসমানীনগরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি ওসমানীনগর উপজেলার জায়ফরপুর গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, দুপুর ১২টার দিকে মাওলানা মো. আমিরুল ইসলাম মাদরাসার সামনে রাস্তা পার হতে গিয়ে ঢাকাগামী একটি দ্রুতগতির প্রাইভেটকারের নিচে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে দুপুর ২টার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বণিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মাদারীপুরে নিহত ২
মাদারীপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় চলন্ত মাহিন্দ্রা (থ্রি হুইলার) থেকে পড়ে গিয়ে ওই গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে সিদ্দিক সরকার (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৯ মে) বিকেল ৪টার দিকে শিবচর পৌরসভার বাইপাস সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সিদ্দিক সরকার ভোলা সদর উপজেলার চর শমাইয়া গ্রামের ওদুদ সরকারের ছেলে। তিনি পেশায় নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার কয়ারিয়া মাঝেরকান্দি গ্রামে মোটরসাইকেলের সঙ্গে নছিমনের মুখোমুখি সংঘর্ষে আসিফ ঘরামি নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে। বুধবার (১৯ মে) দুপুরে উপজেলার ময়দানেরহাট বাজার সংলগ্ন স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সে উপজেলার কয়ারিয়া এলাকার ময়দানেরহাট গ্রামের ফারুক ঘরামির ছেলে।
কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইশতিয়াক আসফাক রাসেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কুষ্টিয়ায় নিহত ২
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৯ মে) বিকেলে উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের ফারাকপুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উপজেলার মোকারমপুর গোলাপনগর গ্রামের বাজারপাড়ার স্যানিটারি ব্যবসায়ী মোমিন আলীর ছেলে মো. ময়নাল হক মিল্টন (২৪) ও একই এলাকার আলম আলীর ছেলে শাকিল আহমেদ (২২) আহমেদ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শাকিল ও মিল্টন মোটরসাইকেলে বিকেলে গোলাপনগর এলাকা থেকে ভেড়ামারা বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। ফারাকপুর গ্রামের গোরস্থান এলাকায় বাঁকা পুল সংলগ্ন রাস্তায় গেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেলসহ তারা রাস্তার ওপর পড়ে যান। তাদের উদ্ধার ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. নুরুল আমীন বলেন, মাথা, হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
আরএআর/জেএস