চীনা নাগরিকের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন, লাশ হিমাগারে
ওয়েন্টাও ওয়েই
সিলেট নগরে ছুরিকাঘাতে খুন হওয়া চীনা নাগরিক ওয়েন্টাও ওয়েইয়ের (৪৮) ময়নাতদন্ত বৃহস্পতিবার (২০ মে) দুপুরে শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ মে) পাঠানটুলা এলাকার বি ব্লকের একটি বাসা থেকে চীনা নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চীনা নাগরিকের ময়নাতদন্ত শেষে তার স্ত্রীকে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। তবে তিনি সঙ্গে না নিয়ে লাশটি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমাগারে রেখেছেন। তিনি মরদেহ চীনে নিয়ে যেতে চান। এই ক্ষেত্রে আইনি বিষয়গুলো শেষ করতে হবে। এতে সপ্তাহখানেক সময় লাগতে পারে।
বিজ্ঞাপন
সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আবু ফরহাদ বলেন, ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। তবে এখনো আমাদের কাছে রিপোর্ট আসেনি। তবে বুকে ছুরিকাঘাতের কারণে তিনি মারা গেছেন। বিষয়টি এই জায়গায় স্পষ্ট।
নিহত চীনা নাগরিকের স্ত্রী বুধবার (১৯ মে) রাতেই সিলেটে পৌঁছেছেন। ওইদিন রাতে তিনি খুনের ঘটনায় মামলা করেন থানায়। তিনিও সিলেটে চাকরি করতে এসেছেন। ঢাকায় বিমানবন্দরে নামার পর তিনি জানতে পেরেছেন তার স্বামী মারা গেছেন।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ জানায়, সিলেটের জালালাবাদ থানার কুমারগাঁও পাওয়ার স্টেশনে কর্মরত ১২ চীনা নাগরিক কোতোয়ালি থানার পাঠানটুলা আবাসিক এলাকার বি ব্লকের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। গত মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে নাশতা করার পর হাত ধোয়া নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে একজন অপরজনকে ছুরিকাঘাত করেন।
এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান ওয়েন্টাও ওয়েই। ওই বাসা থেকে শিও চাও (৩৪) নামে আরেকজন চীনা নাগরিককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর নিহত ওয়েন্টাও ওয়েইয়েরের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পরবর্তীতে ওই দিনই বিকেলে তার স্ত্রী চীন থেকে বিমানযোগে ঢাকায় এসে পৌঁছান।
তুহিন আহমদ/এমএসআর