গভীর রাতে আরও টাকা নিতে এসে গ্রামবাসীর হাতে আটক হয়েছেন দুই জিনের বাদশা

আজমির শরিফে মাদরাসা তৈরি করে দেওয়ার নামে দেড় লাখ টাকা নিয়ে আত্মসাৎ ও গভীর রাতে আরও টাকা নিতে এসে গ্রামবাসীর হাতে আটক হয়েছেন দুই জিনের বাদশা। তাদের গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২০ মে) দুপুরে তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে ভোরে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ঝাপাঘাট এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

তারা হলেন খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা থানার বেলছড়ি গ্রামের মৃত হাশেম আলী হাওলাদারের ছেলে আব্দুল হক হাওলাদার (৪৫), কলারোয়া থানার ঝাপাঘাটা গ্রামের মৃত হাসেম আলী হাওলাদারের ছেলে আব্দুর রহমান হাওলাদার (৫২)।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, সাত মাস আগে কলারোয়ার উপজেলার ঝাপাঘাট গ্রামের শের আলীর (৭২) সঙ্গে একই এলাকার আব্দুর রহমান হাওলাদারের (৫২) মাধ্যমে পরিচয় হয় আব্দুল হক হাওলাদারের (৪৫)। তিনি মাটিরাঙ্গার স্বর্ণকারটিল গ্রামের মৃত হাসেম আলী হাওলাদারের ছেলে। 

পরিচয়ের সূত্রে আজমির শরিফে মাদরাসা করে দেওয়ার নাম করে দেড় লাখ টাকা নেন জিনের বাদশা আব্দুল হক হাওলাদার। কিন্তু আজমির শরিফে মাদরাসা না করে লাপাত্তা হয়ে যান। 

বৃহস্পতিবার ভোরে শের আলীর বাড়িতে তিনটি তাবিজ ও দুই কোটা সিঁদুর নিয়ে হাজির হন দুজন। এসে বলেন, রাতেই এক লাখ টাকা গাছের ডালে বেঁধে রাখলে সকালে দুই লাখ টাকা হয়ে যাবে। এ তাবিজ ও সিঁদুর বাড়িতে রাখলে টাকায় ভরে যাবে। তাদের কথায় সন্দেহ ও পূর্বে দেড় লাখ টাকার বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে এলাকাবাসী জড়ো হয়ে দুজনকে আটক করে গণপিটুনি দেয়।

কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর খায়রুল কবীর বলেন, গ্রামবাসীর দেওয়া খবরের পর কথিত দুই জিনের বাদশাকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তারা প্রতারণা করে এভাবে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতেন।

আকরামুল ইসলাম/এএম