মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়ায় সাপ্তাহিক ছুটির দিনকে কেন্দ্র করে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। ঈদ শেষে দক্ষিণবঙ্গের মানুষ ঈদের পরদিন থেকেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মস্থলে ফিরছে। শুক্রবার (২১ মে) সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় অনেকেই ফিরছেন গ্রামের বাড়িতে।

সরেজমিন দেখা যায়, শিমুলিয়া ঘাটে উভয়মুখী যাত্রী চাপ বেড়েছে। যাত্রীর চাপে ফেরিতে ঠিকমতো ওঠানো যাচ্ছে না পরিবহন। তাই পরিবহনের দীর্ঘ সারি লক্ষ করা গেছে। পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে পাঁচ শতাধিক পরিবহন।

বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ জানায়, করোনার কারণে সরকার ঘোষিত লকডাউনে ঘাটে স্পিডবোট ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় সকাল থেকে যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে ফেরিতে উঠছে। যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে এ রুটে এখোন ১৮টি ফেরি চলছে।

এদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় শিমুলিয়া ঘাটে এসে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে মোটরসাইকেল, সিএনজিসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র যানবাহনে। ভেঙে ভেঙে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যেতে গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের বাড়তি ভাড়া।

শিমুলিয়া ফেরিঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ ঢাকা পোস্টকে জানান, এই মুহূর্তে ঘাটে ১৮টি ফেরি চলছে। যাত্রীর চাপ প্রচুর। উভয় ঘাটমুখী যাত্রী চাপ থাকলেও ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ কিছুটা বেশি। শিমুলিয়া ঘাটে প্রায় ৫০০ পরিবহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।

ব.ম শামীম/এনএ