নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা হেফাজতে ইসলামের সহসভাপতি ও খেলাফত মজলিসের উপজেলার সভাপতি মাওলানা ইকবাল হোসেনের (৫৫) মরদেহ পুলিশ পাহারায় দাফন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের মুন্সিপুর গ্রামে মাওলানা ইকবাল হোসেনের পৈত্রিকবাড়ির পাশে মুন্সিপুর ঈদগাহ মাঠে জানাজ শেষে মুন্সিপুর কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে তার মরদেহ দাফন করা হয়। এ সময় এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল।

এর আগে বিকেলে সোনারগাঁয়ে হেফাজত নেতা মামুনুল হকের রিসোর্টকাণ্ডের ঘটনায় সহিংসতার মামলায় গ্রেফতার হওয়া প্রধান আসামি মাওলানা ইকবাল হোসেন কারাবন্দি অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিকেল ৩টার দিকে তিনি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

কেরানীগঞ্জ কারাগারের জেল সুপার সুভাষ উমার ঘোষ বলেন, সন্ত্রাস দমন আইনের একটি মামলার আসামি মাওলানা ইকবাল হোসেন বেশ কিছুদিন ধরে কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। তিনি হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। গত ১৫ মে তিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে তিনি মারা যান।

মাওলানা ইকবাল হোসেন সোনারগাঁ উপজেলা হেফাজতে ইসলামের সহ সভাপতি ও সোনারগাঁ উপজেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। তার বাবার নাম মৃত আবু সাঈদ। তার স্ত্রী, চার মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে।

তার বড় মেয়ে মেয়ে মাহবুবা বলেন, বাবাকে বিনা অপরাধে ধরে এনে এভাবে মেরে ফেলা হলো। আমাদেরকে সকালে জানানো হয়েছে তিনি খুব অসুস্থ। এখানে এসে আমরা দেখি তিনি ইতোমধ্যে আইসিইউ সাপোর্টে রয়েছেন। তাকে বিকেল ৩টায় মৃত ঘোষণা করা হয়।

সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, রাতে মরদেহ সোনারগাঁ নিয়ে এলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে পুলিশের উপস্থিতিতে তার গ্রামে মরদেহ দাফন করা হয়েছে। 

গত ১১ এপ্রিল মাওলানা ইকবাল হোসেনকে রাজধানীর জুরাইন এলাকা থেকে তাকে আটক করেছিল র‍্যাব।

শেখ ফরিদ/আরএআর