বসতঘর থেকে তিনজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ

বান্দরবানের লামা পৌরসভার চাম্পাতলীতে কুয়েতপ্রবাসী নুর মোহাম্মদের বসতঘর থেকে তার স্ত্রী ও ২ সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২১ মে) রাত সাড়ে ৮টায় মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলো নুর মোহাম্মদের স্ত্রী মাজেদা বেগম (৪০), তার সন্তান রাফি (১৩) ও নুরি (১০ মাস)।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সারাদিন প্রতিবেশীরা এই পরিবারের কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে রাত সাড়ে ৭টার দিকে বাসার জানালা দিয়ে ভেতরে দেখেন। এসময় তারা তিন জনকে শোয়া অবস্থায় দেখতে পান। ডাকাডাকি করে তাদের কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে তারা পুলিশে খবর দেন। রাত ৮টার দিকে পুলিশ এই তিনজনের মরহেদ উদ্ধার করে।

নিহতদের সবার শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বাসার ভেতরে আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়েছে। স্থানীয়রা মনে করছেন, তাদের বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হতে পারে।

এ ব্যাপারে কুয়েতপ্রবাসী নুর মোহাম্মদের ভাই আব্দুল খালেক ও শাহ আলম বলেন, নিহত মাজেদা বেগমের বোন বেড়াতে এসেছিলেন। তারা বৃহস্পতিবার বিকেলে চলে যান। এরপর কী হয়েছে আমরা জানি না।

এদিকে মরদেহ উদ্ধার হওয়ার পর লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রেজা রশিদ, লামা পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমানসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) রেজওয়ানুল ইসলাম (লামা সার্কেল) জানান, আমরা তালাবদ্ধ ঘর থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। তাদের গায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এটি হত্যাকাণ্ড। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ তিনটি বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

রিজভী রাহাত/এমএসআর/জেএস