বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে সেটির এখনো উৎপত্তি হয়নি। যদি উৎপত্তি হয় তবে তার নাম হবে ‌‘ইয়াস’। উৎপত্তির পর জানা যাবে সেটি বাংলাদেশে প্রবেশ করবে না ভারতে যাবে। তবে এরই মধ্যে চারপাশে নানা বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়েছে। ঢাকা পোস্টকে এসব কথা জানান সাতক্ষীরা আবহাওয়া অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী।

তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরে এখনো এক থেকে দুই দিন পর লঘুচাপটি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। লঘুচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়টির উৎপত্তি হলে সেটি ২৫-২৬ মে উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। যদি বাংলাদেশ অংশে আঘাত হানে তবে আম্ফান যে সকল অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে সেই অঞ্চলে আঘাত হানবে। এটির গতিবেগ কেমন হবে সেটি উৎপত্তি হওয়ার পর জানা যাবে। ঘূর্ণিঝড় হবে কি না সেটি জানতে এখনো অপেক্ষা করতে হবে। সকলকে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর জন্য আবহাওয়া অধিদফতরের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় প্রস্তুতি সভা করেছে উপজেলা প্রশাসন। শুক্রবার (২১ মে) সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পুলিশ প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস ও স্বাস্থ্য বিভাগকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুবায়ের হোসেন চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, সাতক্ষীরা দুর্যোগপ্রবণ এলাকা। সে লক্ষ্যে আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। দুটি স্বেচ্ছাসেবী দলের এক হাজার কর্মী দুর্যোগকালীন সহায়তায় থাকবে। এ ছাড়া পুলিশ প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস ও স্বাস্থ্য বিভাগকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। 

শনিবার (২২ মে) সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ানম্যান ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের নিয়ে সভা করে প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন সেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া জনগণকে সতর্ক করে আমাদের প্রচার প্রচারণা থাকবে। আমি টিভিতে ঘূর্ণিঝড়ের সংবাদ দেখে এই প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। আগামী ২৬ তারিখে সাতক্ষীরা উপকূলে ঝড়টি আঘাত হানবে বলে জেনেছি।

আকরামুল ইসলাম/এসপি