ভরা মৌসুমেও চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে দেখা মিলেনি ইলিশের। কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পেয়ে হতাশ হয়ে নৌকা নিয়ে তীরে ফিরেছেন জেলেরা। চাহিদা অনুযায়ী আমদানি না থাকায় জমে উঠছে না মাছের আড়ত।

শনিবার (২২ মে) দুপুরে সাগরের ইলিশে কিছুটা সরগরম ছিল বড় স্টেশন মাছ ঘাট। ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও জেলেদের মধ্যে ছিল কর্ম ব্যস্ততা। অন্যদিনের তুলনায় ইলিশের আমদানি বেশি থাকায় খুশি সবাই। ক্রেতা তেমন পাওয়া না গেলেও হাকডাকে গরম ছিল মাছ ঘাট।

বড় স্টেশন মাছ ঘাটের হাজী আবদুল খালেক মাল ফিস এজেন্টের মৎস্য ব্যবসায়ী মো. রুবেল হোসেন বলেন, ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ সময়ের পূর্বে সাগরে আহরণকৃত ইলিশগুলো ঘাটে এসেছে। এরপর আর কোন ইলিশ ঘাটে আসবে না। 

এখানকার ৭শ থেকে ৯শ গ্রামের ইলিশ প্রতি মণ ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে। ঘাটে যা ইলিশ আসছে, সব সাগরের ইলিশ। পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ নেই বললেই চলে। সাগরের ইলিশে আমরা খুশি নই। চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ইলিশ পেলে সবাই খুশি হবে। তবে আশা করি সামনে ইলিশ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। 

বড় স্টেশন মাছ ঘাটের জেলে রফিক মিজি। তিনি জানান, আমরা সাগর এলাকায় ইলিশ ধরি। সাগরে এখন মাছ শিকার নিষিদ্ধ। আগে যা ধরেছি, সেগুলো বরফে রাখা হয়েছে। সব ইলিশ একত্র করে মাছ ঘাটে আনা হয়েছে। এখানে চাহিদা ভালো বলে সব ইলিশ এখানে নিয়ে আসা হয়।

চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সভাপতি মানিক জমাদার বলেন, পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ নেই। লোকাল আর সাগরের কিছু ইলিশ বিক্রি হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানের চাষ করা মাছ এখানে আসে, সেগুলো ডাকের মাধ্যমে বিক্রি হয়। মাছ ঘাটে যে ইলিশ এসেছে, সেগুলো জেলেদের আগে ধরা ইলিশ।

শরীফুল ইসলাম/এসপি