বকেয়া বেতনের দাবিতে নওগাঁ সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারীদের মানববন্ধন

৪ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না নওগাঁ সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারীরা। বকেয়া বেতনের দাবিতে রোববার (২৩ মে) দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ পালন করে নওগাঁ সরকারি কলেজ বেসরকারি কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। এই কর্মসূচি থেকে বকেয়া বেতন না পাওয়া পর্যন্ত তারা কর্মবিরতির ঘোষণা দেন।

কর্মচারীরা জানান, কলেজে বিভিন্ন সময়ে অস্থায়ী ভিত্তিতে (মাস্টার রোল) চাকরি পাওয়া কর্মচারীর সংখ্যা বর্তমানে ৮৬ জন। কোনো কোনো কর্মচারী ২০ থেকে ২৫ বছর ধরে এভাবে নিয়োগ পেয়ে কাজ করছেন। প্রয়োজনের তুলনায় কম হলেও এতদিন জীবন চালানোর জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদেরকে বেতন-ভাতা দিয়ে আসছিলেন।

তারা আরও জানান, কিন্তু ৪ মাস ধরে কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের কোনো বেতন-ভাতা দিচ্ছে না। এতে করে পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা কঠিন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। বাড়ি ভাড়া দিতে পারছেন না, খাবার খেতে পারছেন না। এক প্রকার নিরূপায় হয়ে তারা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন।

নওগাঁ সরকারি কলেজ বেসরকারি কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমীন, কর্মচারী শিরিন আখতার, শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়া কর্মচারীদের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন নওগাঁ জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রিয়াজ খান ও সাধারণ সম্পাদক আমানুজ্জামান শিউল।

বক্তব্য দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন শিরিন আখতার নামের এক কর্মচারী। তিনি বলেন, ‘গত ১৮ বছর ধরে এই কলেজে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে অফিস সহকারী হিসেবে কাজ করছি। এতদিন কোনো সমস্যা হয়নি। ৮ বছর আগে স্বামী মারা গেলেও কলেজ থেকে যে বেতন পাইতাম তা দিয়ে কোনোরকমে সংসার চলে যেত। কিন্তু ৪ মাস ধরে বেতন-ভাতা পাইনি।’

কলেজের অধ্যক্ষ মানিক কুমার সাহা ঢাকা পোস্টকে বলেন, মাস্টার রোলে কর্মরত কর্মচারীদের কলেজ ফান্ড থেকে বেতন-ভাতা দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু ৪ মাস ধরে তাদেরকে বেতন-ভাতা দেওয়া যায়নি। এটা খুবই পরিতাপের বিষয়। কিন্তু এই মুহূর্তে দুঃখ প্রকাশ ছাড়া আমার করণীয় কিছু নেই। কারণ করোনার কারণে সব ধরনের ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে।

শামীনূর রহমান/এমএসআর