গ্রেফতার ইসমাইল হোসেন

যশোরের কেশবপুর উপজেলায় শিশু রত্না খাতুন (৯) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ধর্ষণচেষ্টার সময় চিৎকার করায় তাকে নাক-মুখ চেপে ধরে হত্যা করেন নানা (ভিকটিমের বাবার মামা) ইসমাইল হোসেন (৩২)। 

এরপর ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ায় ঝুলিয়ে দেন। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হলে অভিযুক্ত পালিয়ে যান। সোমবার (০৪ ডিসেম্বর) যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন ইসমাইল।

ইসমাইল কেশবপুর উপজেলার আলতাপোল সরদারপাড়ার কালাচাঁদ সরদারের ছেলে। তাকে রোববার রাতে পটুয়াখালীর কলাপাড়া থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

জবানবন্দিতে ইসমাইল বলেন, রত্না খাতুনের বাবা তার নানার বাড়িতে বসবাস করেন। সম্পর্কে রত্নার নানা হন ইসমাইল। ২১ নভেম্বর বিকেল ৫টার দিকে রত্নার অসুস্থ বাবাকে দেখার জন্য তাদের বাড়ি যান ইসমাইল।

এ সময় রত্না ঘরে একা টিভি দেখছিল। ইসমাইল ঘরে ঢুকে রত্নাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। তখন রত্না চিৎকার দেয়। এ সময় নাক-মুখ চেপে ধরলে রত্না মারা যায়। তখন ঘটনা ভিন্নখাতে নেয়ার জন্য গলায় ওড়না পেঁচিয়ে রত্নাকে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে দেন। পরবর্তীতে কৌশলে পালিয়ে যান ইসমাইল।

যশোর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন বলেন, ২১ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় রত্নার মরদেহ উদ্ধার হয়। 

এ ঘটনায় ওই দিনই কেশবপুর থানার অপমৃত্যু মামলা করা হয়। পরবর্তীতে ময়নাতদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে রত্নার বাবা জাহিদুল ইসলাম থানায় হত্যা মামলা করেন।

এরপর মামলার তদন্ত শুরু করে পিবিআই। রোববার রাতে পটুয়াখালী জেলা পুলিশের সহায়তায় কলাপাড়া থানা এলাকা থেকে ইসমাইল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ইসমাইল। সোমবার তাকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তিনি বলেছেন ধর্ষণচেষ্টার সময় চিৎকার করায় নাক-মুখ চেপে ধরে হত্যা করেছেন।

এএম