এবার বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা পরিষদ চত্বরের বাগানের ফুলগাছ খাওয়ায় ছাগলের মালিককে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুই হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদমদীঘি ইউএনও। বুধবার (২৬ মে) উপজেলা পরিষদে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে প্রতিবন্ধী ছেলের জন্য খাদ্য পাওয়ার আশায় ৩৩৩ নম্বরে ফোন দিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জের ফরিদ উদ্দিন। পরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগে ফরিদ উদ্দিনকে ১০০ জন দরিদ্রকে খাদ্যসহায়তা জরিমানা করেন।

এদিকে ছাগলটি ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করা দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সীমা শারমিন জানান, জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় ছাগলটি ভিন্ন স্থানে জিম্মায় রাখা হয়েছে।

জানা যায়, আদমদীঘি উপজেলা পরিষদ চত্বরের ডাকবাংলো-সংলগ্ন বাসিন্দা জিল্লুর রহমানের স্ত্রী সাহারা খাতুন মুরগি ও ছাগল পালন করেন। তার একটি ছাগল ১৭ মে দিনের বেলায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে ঢুকে ফুলগাছের পাতা খায় ও নষ্ট করে। এ সময় নির্দেশ পেয়ে ওই ছাগলটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিরাপত্তাকর্মী ছাগলটিকে আটক করে রাখেন।

এদিক সাহারা বেগম ছাগলটি খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে উপজেলা চত্বরের ভেতর ছাগলকে বেঁধে রেখে ঘাস খাওয়ানো অবস্থায় দেখতে পান। তিনি ছাগল আনতে গেলে তাকে ফিরিয়ে দেন এক নিরাপত্তাকর্মী।

এরপর তাকে জানানো হয়, ফুলগাছের পাতা খাওয়ার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা দিয়ে ছাগল ছেড়ে নিয়ে যেতে। কিন্তু সাহারা টাকা পরিশোধ করতে না পারায় ছাগলও নিতে পারেননি।

এ ব্যাপারে সাহারা বেগম ঢাকা পোস্টকে জানান, তাকে ছাগলটি না দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং স্থানীয় বাজারে ছাগলটি পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। ইউএনও তার বাসার গৃহকর্মী মারফত খবর পাঠিয়েছেন যে জরিমানার দুই হাজার টাকা বাদ দিয়ে তিন হাজার টাকা ছাগল-মালিককে নিয়ে আসতে।

এ ব্যাপারে ইউএনও সীমা শারমিন ঢাকা পোস্টকে জানান, ফুলের গাছ খাওয়া নিয়ে ছাগলের মালিককে চার দফা নিষেধ করা হয়েছে। এরপর ফুলগাছ খাওয়ার অপরাধে মালিকের অজান্তে ছাগলকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের আওতায় এনে মালিকের দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ছাগল বিক্রি করা হয়নি। একজনের জিম্মায় রাখা হয়েছে। ছাগলমালিক সঠিক বলছেন না।

এ বিষয়ে বগুড়া বারের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শেখ কুদরত-ই-এলাহী কাজল ঢাকা পোস্টকে জানান, কোনো গাছপালা খেলে ছাগল সর্বোচ্চ খোয়ারে দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু ছাগল আটক রেখে বা বিক্রি করা ঠিক হবে না।

সাখাওয়াত হোসেন জনি/এনএ