গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকায় স্বামীকে তালাক দেওয়ায় আরজিনা আক্তার (৩৫) নামে এক নারীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। স্বামীর ছুরিকাঘাতের দুইদিন পর শুক্রবার (২৮ মে) রাতে তার মৃত্যু হয়েছে। স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী রতন আলীকে (৩৩)। গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নিহত আরজিনা আক্তার কালিয়াকৈর উপজেলার কলাবাধা এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। গ্রেফতার রতন আলী নওগাঁ সদর উপজেলার মুকরামপুর এলাকার মুনসুর আলীর ছেলে। 

মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক সাইফুল ইসলাম জানান, প্রায় চার মাস আগে রতন ভালোবেসে আরজিনাকে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর আরজিনা জানতে পারেন তার স্বামীর সঙ্গে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় মেয়ের পরকীয়া সম্পর্ক আছে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি চলে। তাদের মধ্যে মনোমালিন্য ও ঝগড়া বিবাদ চলে আসছিল। পরকীয়ার জের ধরে স্ত্রী আরজিনা আক্তার বুধবার (২৬ মে) সকালে আলিপুর উপজেলার মৌচাক বাজারে কাজি অফিসে গিয়ে তার স্বামী রতন আলীকে তালাক দেন। ওই সময় তার স্বামীকে মুঠোফোনে তালাক দেওয়ার বিষয়টি জানান আরজিনা। 

এতে রতন ক্ষিপ্ত হয়ে একটি ধারালো ছুরি নিয়ে মৌচাক বাজারে আসেন। তালাক দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় মৌচাক সুফিয়া হাসপাতালের সামনে রতন তার স্ত্রীর গতিরোধ করেন। প্রকাশ্যে ছুরি দিয়ে তার পেটে তিনটি আঘাত করেন। এতে আরজিনা মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে আশপাশের লোকজন রতনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন এবং আহত আরজিনাকে উদ্ধার করে প্রথমে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আরজিনার মৃত্যু হয়।

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, এ ঘটনায় কালিয়াকৈর থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে। এছাড়াও গ্রেফতার রতন আলী বৃহস্পতিবার গাজীপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি আদালতকে বলেন, তাকে তালাক দেওয়ায় স্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যেই তিনি ছুরিকাঘাত করেন। 

শিহাব খান/আরএআর